গোবিন্দগঞ্জের ঘটনা নাসিরনগরের চেয়েও জঘন্য
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ওপর হামলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার চেয়েও জঘন্য বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
আজ রোববার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জের মাদারপুর ও জয়পুরপাড়ার সাঁওতাল পল্লী পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের কাছে কাদের সিদ্দিকী এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালদের খোঁজ নেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এই সাঁওতালপল্লীতে নাসিরনগরের ঘটনার চেয়েও জঘন্যতম ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী একজন বিজ্ঞ মানুষ। যদি তিনি বাঁচতে চান, এই ষড়যন্ত্রের হাত থেকে মুক্ত হতে হবে। তাঁর সরকারকে ধ্বংস করার জন্য তার ভিতরের লোকেরাই এই কাজগুলো করছে এবং তাদের বিচার যদি তিনি করতে না পারেন তাহলে খুব ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আরো বলেন, ‘আমি কোনো পক্ষে না। আমি সবসময় আমার পক্ষে, মানুষের পক্ষে- এর জন্য আমাকে যা করতে হবে আমি তাই করব।’
এর আগে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
গত ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ আখ খামারের জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সেখানে বসবাসরত প্রায় আড়াই হাজার সাঁওতাল বসতি পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় বাঙালি-পুলিশ ও সাঁওতালদের মধ্যে সংঘর্ষে তিন সাঁওতাল নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। মামলা করা হয় শতাধিক সাঁওতালের নামে।
এ দিকে সাঁওতালদের ওপর হামলা, লুটপাট ও ঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগেও অজ্ঞাতপরিচয় ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।