সাত খুন মামলার রায় ১৬ জানুয়ারি
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় করা দুটি মামলার যুক্তি-তর্ক শেষ হয়েছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি এই মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে।
আজ বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের দিন ঘোষণা করেন।
ও সময় মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ ২৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার কার্যক্রম শেষে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন সাংবাদিকদের জানান, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ৩৫ আসামির মধ্যে ২৩ জন কারাবন্দি আছেন। এঁদের মধ্যে ২১ জন নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দিয়েছেন। তবে তদন্ত শেষ হওয়ার পর প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনায় তাঁর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার সুযোগ ছিল না। অন্যদিকে তাঁর গাড়িচালক মিজানুর রহমান দীপু জবানবন্দি দিতে রাজি হননি।
পিপি খোকন আরো জানান, ১০৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্যের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে, এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন। আর ওই হত্যার সব প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১১-এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফসহ ৩৫ জন।
প্রত্যেক আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে আদালতের কাছে প্রার্থনা করেছেন বলেও জানান ওয়াজেদ আলী খোকন। তাঁর আবেদন আদালতে বহাল থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল আদালত থেকে ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ফতুল্লা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়। দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলার পর আজ এই মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হলো।