গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র মান্নান রিমান্ডে
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (জিসিসি) সাময়িক বরখাস্ত মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
মান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে জয়দেবপুর থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা।
ওসি জানান, গত ২০১৪ সালের একটি মামলায় মেয়রকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। মামলাটি করেছেন টঙ্গীর শিলমন এলাকার মৃত বাছির উদ্দিনের ছেলে মো রমিজ উদ্দিন।
ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমীন গত রোববার এম এ মান্নানকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য গাজীপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-৩ এ আবেদন করেন। বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল হাই শুনানি শেষে মান্নানের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং তা দুই কার্যদিবসের মধ্যে পুলিশকে কার্যকরের আদেশ দেন।
দুইদিনের মধ্যে রিমান্ড কার্যকর করা না হলে তা বাতিল হবে বলে আদালত আদেশে উল্লেখ করেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে মান্নানকে জয়দেবপুর থানায় আনা হয় বলে জানান ওসি।
যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা অধ্যাপক এম এ মান্নানকে ঢাকার বারিধারার ডিওএইচএসের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২২ মামলায় জামিনের পর হাইকোর্ট থেকে সর্বশেষ জামিন লাভ করে চলতি বছরের ২ মার্চ তিনি কারামুক্ত হন।
গত এপ্রিল মাসে এম এ মান্নান মেয়র পদ ফিরে পান। এ অবস্থায় চলতি বছর ১৫ এপ্রিল তাঁকে ফের নাশকতার তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই মাসে তাঁকে ফের বরখাস্ত করা হয়। গত ১৫ এপ্রিল থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। মান্নানের অবর্তমানে গত বছরের ৮ মার্চ থেকে প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যাপক মান্নানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত মোট ২৮টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।