শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশকে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ শতাংশে উন্নীত করতে ওআইসি পরিচালিত ইসলামী ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) বিশেষ অবদান রাখছে। আইইউটি ইসলামী উম্মাহর মধ্যে প্রযুক্তি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে।

মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের বোর্ডবাজারে অবস্থিত ওআইসি পরিচালিত ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ৩০তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।

এ সময় ওআইসির মহাসচিবের পক্ষে ওআইসির সহকারী মহাসচিব (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ নাঈম খান বক্তব্য দেন। সমাবর্তনে আইইউটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ডক্টর মোহাম্মদ সাঈদ আল আলাম আল জাহরানী এবং আইইউটির উপাচার্য ডক্টর মুনাজ আহমেদ নূর বক্তব্য দেন।

এর আগে শিক্ষার্থীরা সমাবর্তন গাউন পরেবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রা বের করেন।

মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, মুসলিম বিশ্ব তাদের উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনের এবং ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতি আবশ্যক। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইইউটির মতো প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে পেরে তোমাদের ক্যারিয়ারে একটি মজবুত ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছ। তোমাদের অর্জিত জ্ঞান ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম উম্মাহ ও নিজেদের জীবনের উন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য কঠিন সংগ্রাম করতে হবে।

সমাবর্তনে প্রধান অতিথি বাংলাদেশসহ ওআইসির অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দেশের গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন ৩২৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন। এ সময় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএস) আবরার ফাইয়াজকে ওআইসি গোল্ড মেডেল এবং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ই) মো. ওমর ফারুক, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (এম) তানভীর হাসান মেহেদী, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিভিল) মো. আসিফ হাসান অনিক এবং এমএসসি টিইর হামিছি রামাদানকে আইইউটি গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়। এবার মেডেল পাওয়া পাঁচজনের মধ্যে হামিছি রামাদান উগান্ডার নাগরিক এবং অন্যরা বাংলাদেশের নাগরিক।