গোবিন্দগঞ্জের ঘটনায় সাংসদ জড়িত : নির্মূল কমিটি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জড়িত বলে দাবি করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
আজ রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্মূল কমিটির নেতারা এ কথা বলেন। গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হলেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় একটিরও বিচার না হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটছে বলেও মনে করে সংগঠনটি।
গাইবান্দার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ওপর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় তদন্ত দল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় শুধু সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরাই দায়ী নয়। কখনো কখনো সরকারদলীয় লোকজনও জড়িত।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘গোবিন্দগঞ্জের ওরা জানিয়েছে এবং আমরাও মনে করি, সব রকমের, এই যে হয়রানিমূলক মামলাগুলো করা হচ্ছে- এগুলো অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। তাদের যথাযথ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা উচিত।’
কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০০১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যতগুলি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর, কী কারণে সরকার একটি মামলারও বিচার করতে পারল না।’
সংখ্যালঘুদের ওপর একটির পর একটি হামলা হলেও বিচার পাচ্ছে না তারা। আইনের ফাঁক গলিয়ে প্রকৃত দোষীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই তাদের সুরক্ষার জন্য আলাদা আইন প্রণয়নেরও দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলিমদের হত্যা ও তাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা।