আরিফুল ও গউছের জামিন স্থগিত
সিলেট সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।
একইসঙ্গে আগামী ২ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি মো. নিজামুল হক এ আদেশ দেন।
আদালতে দুই আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা।
গত ১১ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বোমা হামলা মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ জুন সুনামগঞ্জের দিরাই বাজারে একটি সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ বোমা হামলায় এক যুবলীগ কর্মী নিহত ও ২৯ জন আহত হয়।
ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সে সময় উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে দিরাই থানায় একটি মামলা করেন।
এদিকে, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। গ্রেনেড হামলার এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।
তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক, জি কে গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। এরপর আরিফুল ও গউছ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তা নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠান। সরকার তাঁদের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে। গত জুন মাসে হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সিলেটে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।