কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র নিয়ে শুনানি শুরু
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে।
আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।
গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে বিষয়টি আপিল বিভাগে পাঠিয়েছেন চেম্বার আদালত।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. ইয়াসিন খান।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।
এ বিষয়ে রাগীব রউফ চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ইসি কোনো ধরনের কার্যক্রম করতে পারবে না।
এর আগে গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচনে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এর ফলে নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এ-সংক্রান্ত কাদের সিদ্দিকীর করা রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। একই সঙ্গে রিটের নিষ্পত্তি করা হয়।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র কেন বৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।
গত বছরের ১৩ অক্টোবর ঋণখেলাপি হওয়ার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনে কাদের সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে। কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিলের কারণ হিসেবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থার নামে অগ্রণী ব্যাংকে ১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। কাদের সিদ্দিকী এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও নাসরিন কাদের সিদ্দিকী পরিচালক। ঋণখেলাপি হওয়ায় তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।