এমপি লিটন হত্যা : প্রধান সন্দেহভাজনসহ দুজনের রিমান্ড
গাইবান্ধার সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাঁরা হলেন মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আশরাফুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগী জহিরুল ইসলাম।
আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গাইবান্ধার প্রধান বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মইনুল হাসান ইউসুফ দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশের দাবি, আশরাফুল ইসলাম সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির হাজি ইউনূস আলীর ছেলে। আর জহিরুল ইসলাম সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের অর্থ জোগানকারী হাজি ফরিদের ছেলে।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে আশরাফুল ও জহিরুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১। এরপর ১৩ জানুয়ারি ভোরে দুজনকে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সর্বশেষ গতকাল শনিবার পুলিশ এ দুজনের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায়। আদালত আজ রোববার শুনানির শেষে দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাহাবাজ গ্রামের নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন এমপি লিটন। রাত সাড়ে ৭টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় এমপি লিটন ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে তিন যুবক তাঁর বাড়িতে আসে। তারা হেলমেট পরা অবস্থায় ছিল। একজন মোটরসাইকেল নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। অপর দুই যুবক ঘরে ঢুকেই এমপি লিটনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।