ন্যায়বিচার পেয়েছি : নিহত নজরুলের স্ত্রী
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের দুই মামলায় প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র্যাবের তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা।
আজ সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। আশা করি, দ্রুত রায় কার্যকর হবে।’ নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলামও একই কথা বলেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওয়াজেদ আলী খোকন সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘২৬ জনকে ফাঁসির মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসামি মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
আদালতের দেওয়া রায়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১-এর চাকরিচ্যুত অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কমান্ডার এম এম রানা, মেজর আরিফসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার বাকি নয় আসামিকে নয় বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাত খুনের দুটি মামলার অন্য আসামিরা হলেন—র্যাব সদস্য উপপরিদর্শক (এসআই) পুর্ণেন্দু বালা, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বজলুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার এমদাদুল হক ও নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন ও বাবুল হাসান, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, ল্যান্স করপোরাল রুহুল আমিন, সিপাহি আবু তৈয়ব, নুরুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার।
এ ছাড়া পলাতক রয়েছেন—নূর হোসেনের সহযোগী সেলিম ও শাহজাহান, সানাউল্লাহ সানা, জামাল উদ্দিন, র্যাবের করপোরাল লতিফুর রহমান, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সি, আল আমিন শরিফ, আব্দুল আলী, তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবির, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান।