ট্রাম্পের আদেশে হৃদয় ভেঙেছে মালালার
শরণার্থী ও সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় হৃদয় ভেঙেছে সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের। গত শুক্রবার রাতে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ জারির পর যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় শনিবার এ বিষয়ে এক টুইটে মালালা এই কখা লেখেন।
টুইটে মালালা লেখেন, বিশ্বের ‘সবচেয়ে নিরাপত্তাহীন’ মানুষগুলোকে পরিত্যাগ করায় তিনি মর্মাহত। ‘আমার হৃদয় ভেঙে গেছে’ উল্লেখ করে মালালা এই মানুষগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরজা বন্ধ না করতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান।
মালালা লেখেন, ‘আমি চাই, যুদ্ধ এবং সহিংসতার জন্য যে শিশু ও তাঁদের মা-বাবারা জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেন তাঁদের জন্য দরজা বন্ধ করে না দেন।’
১৯ বছর বয়সী এই নারী অধিকারকর্মী অসহায় মানুষগুলোর প্রতি মুখ ফিরিয়ে না নিতেও ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে সাত ‘অপরাধপ্রবণ’ মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধঘোষিত এসব দেশ হচ্ছে সিরিয়া, ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব দেশ সংঘর্ষ ও সন্ত্রাসপ্রবণ।
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বৈধ ভিসাধারী অভিবাসী ও শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সাময়িক স্থগিত করেছেন আদালত।
আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) নামে একটি সংস্থা ট্রাম্পের আদেশের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির কেন্দ্রীয় বিচারক অ্যান ডনেলি এ আদেশ দেন।
মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে কথা বলায় ২০১২ সালে পাকিস্তানে তালেবানের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মালালা ইউসুফজাই। পরে সুস্থ হয়ে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস শুরু করেন তিনি। এরপর ২০১৪ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে কমবয়সী হিসেবে ভারতের কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান মালালা।