দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতেন সুরঞ্জিত
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, প্রবীণ রাজনীতিক সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সব সময় দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর জিগাতলায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসায় শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এ কথা বলেন মেনন।
আজ ভোররাত ৪টা ২৪ মিনিটে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
সুরঞ্জিতের একান্ত সহকারী কামরুল হক জানান, সুনামগঞ্জের এই সংসদ সদস্যকে গতকাল রাত থেকে হাসপাতালেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
জিগাতলায় শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে তাঁর (সুরঞ্জিত) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তিনি সরকারি দলে থাকেন আর বিরোধী দলে থাকেন—সব সময় দেশের স্বার্থবিরোধী হবে এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতেন।
মেনন আরো বলেন, সংবিধান ও সংসদ সম্পর্কে সুরঞ্জিতের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অতুলনীয় ছিল।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, সুরঞ্জিতের মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশে এযাবৎকালে যতজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে প্রজ্ঞায় সুরঞ্জিত প্রথম কাতারের।
জিগাতলার বাসায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ অনেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রতি। তাঁদের মধ্যে আছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুকুল বোস, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। শ্রদ্ধা জানান সুনামগঞ্জের নেতারাও।