নিজ চন্দন গাছের কাঠ দিয়ে সুরঞ্জিতকে দাহ
মৃত্যুর আগে চন্দন গাছের কাঠ দিয়ে দাহ করার কথা বলে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তাঁর এই শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, চন্দন কাঠ দিয়েই দাহ করা হয়েছে, তা-ও তাঁর নিজের হাতে লাগানো গাছ থেকে নেওয়া হয়েছে কাঠ। এ ছাড়া আরো কিছু কাঠ নেওয়া হয়েছিল ঢাকা থেকে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তাঁর দিরাইয়ের নিজ বাড়ির আঙিনায় দুটি চন্দন কাঠের গাছ লাগিয়েছিলেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর নিজের হাতে লাগানো সেই দুটি গাছের কাঠ দিয়েই দাহ করা হয়েছে তাঁকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দাহ কাজে থাকা ডা. মিহিরণ রায় বলেন, ‘সুরঞ্জিত মামা দুটি চন্দন গাছ লাগিয়েছিলেন। যেহেতু মামার শেষ ইচ্ছা ছিল চন্দন গাছ দিয়ে দাহ করার, তাই আমরা তাঁর পরিবারের কথায়, সুরঞ্জিত মামার লাগানো দুটি গাছ কেটে নিই। সেখান থেকে প্রায় তিন-চার মণ কাঠ পাওয়া গেছে। তাঁর মরদেহ দাহ করার জন্য আমরা সেই কাঠ কেটে শেষকৃত্যে লাগিয়েছি।’
দাহ কাজের দায়িত্বে থাকা আরেকজন গোপাল রায় জানান, সুরঞ্জিত সেনের নিজ হাতে লাগানো দুটি গাছের চন্দন কাঠ দাহ কাজে লাগানো হয়েছে। কিন্তু এই কাঠ যথেষ্ট ছিল না। তাই আরো কয়েক কেজি চন্দন কাঠ ঢাকা থেকে আনা হয়েছে।
গোপাল রায় আরো জানান, নেতার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর পরিবারের লোকজন চন্দন কাঠের ব্যবস্থা করেছেন। এর সঙ্গে ঘি ও প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
দিনব্যাপী নানা ধর্মীয় ও সামাজিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার সন্ধ্যায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের নিজ বাসভবনের আঙিনায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে বাবার মুখাগ্নি করেন তাঁর একমাত্র ছেলে সৌমেন সেন।
গত রোববার ভোর রাত ৪টা ২৪ মিনিটে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সুনামগঞ্জের সাতবারের নির্বাচিত এই সংসদ সদস্যকে (এমপি) এর আগের রাত থেকে হাসপাতালেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।