হায়দরাবাদ দেখল ব্যাটসম্যান মিরাজকে
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকে আলো ছড়ানোর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও বল হাতে ভালো করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ইংল্যান্ড সিরিজে ১৯ উইকেট নেওয়া মিরাজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চার উইকেট নেন। তবে ব্যটে হাত নিজেকে প্রমাণের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। অবশেষে ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠলেন অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সাবেক এই তারকা। হায়দরাবাদে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে দারুণ ব্যাটিং করছেন এই অলরাউন্ডার। বল হাতে দুই উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে তাঁর চেয়ে বড় কথা অশ্বিন-যাদব-জাদেজাদের বলে দরুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাটিং করেছেন মিরাজ। দিন শেষে ৫১ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি।
অনূর্ধ্ব ১৯ দলে অবশ্য ব্যাট হাতেই বেশ ভালো করেন মিরাজ। যুব ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তিন রান সংগ্রাহকের একজন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্তর ১৮২০ ও এনামুল হক বিজয়ের ১৩২৬ রানের পরই তৃতীয় সবোর্চ্চ ১৩০৫ রান মিরাজের। শ্রীলংকা অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বিপক্ষে খেলা চারটি টেস্টে একটি শতকসহ ২৫০ রান করেন তিনি। গড়টাও দারুণ, ঠিক ৫০। ছোটদের দলে খেলা ৫৬টি ওয়ারডেতে ১২টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। অথছ সেই মিরাজই জাতীয় দলে এসে যেন ব্যাট কারাটাই ভুলে যান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে ১০ রান করেছিলেন মিরাজ। ওটাই সবোর্চ্চ রানের স্কোর ছিল তাঁর। তবে ভারতের বিপক্ষে ব্যাট নিজেকে নতুন করে চেনালেন এই ব্যাটসম্যান। জাদেজাকে মারতে গিয়ে সাব্বির যখন আউট হন বাংলাদেশের রান তখন ২৩৫। এমন সময় অধিনায়ক মুশফিককে যোগ্য সাহচর্য দিয়ে যান মিরাজ। মুশফিককে নিয়ে গড়া ৮৭ রানের জুটিতে একাই ৫১ রান করেছেন মিরাজ। হাফ সেঞ্চুরি করার পর মুশফিকের বাহবা কুঁড়িয়ে নিয়েছেন।
মিরাজের ব্যাটিং ঝলক অবশ্য এর আগেও দেখা গেছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে অপরাজিত ৪১ রান করে দলকে জেতান মিরাজ। অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটেও লোয়ার অর্ডারে নেমে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। ছোটদের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬০ আর নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ৫৫ রানের স্মৃতি তো এখনো টাটকা। সেই ব্যাটসম্যান মিরাজের দেখা মিলল হায়দরাবাদে। আগামীকাল চতুর্থ দিনে মুশফিক-মিরাজ যদি ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে পারেন তাহলে ভারতের বিপক্ষে এই টেস্টে ড্রয়ের স্বপ্নটা দেখা খুব একটা বাড়াবাড়ি হবে না।