জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন ক্রিকেটার সানি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ক্রিকেটার আরাফাত সানি এবার উচ্চ আদালতে জামিন চাইবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
আজ বুধবার বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুল ইসলাম সানির জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ দেন।
তার পরই আরাফাত সানির আইনজীবী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা উচ্চ আদালতে খুব শিগগির জামিন আবেদন করব। এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। নিম্ন আদালত থেকে জামিন না পাওয়ায় আমাদের উচ্চ আদালতের পথই খোলা রয়েছে।’
গত ২২ জানুয়ারি ঢাকার আমিনবাজার এলাকা থেকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে নাসরিন সুলতানা নামে এক নারীর দায়ের করা প্রথম মামলায় আরাফাত সানিকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। পরে ঢাকার মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই তাঁকে একদিনের রিমান্ডে পাঠান। এর পর থেকেই সানি কারাগারে রয়েছেন।
মামলার নথিতে দাবি করা হয়, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ক্রিকেটার আরাফাত সানির সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে নাসরিন সুলতানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁরা দুজন ভাড়া বাসায় সংসার শুরু করেন। ছয় মাস পর ক্রিকেটার আরাফাত সানি তাঁর মায়ের পরামর্শে নাসরিনের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকার জন্য সানি তাঁর স্ত্রীকে মারধর ও গালিগালাজ করে ভাড়া বাসায় ফেলে যান।
নথিতে আরো উল্লেখ করা যায়, ২০১৬ সালের ১২ জুন বাদী নাসরিন সুলতানা বাসা ভাড়াসহ যাবতীয় ভরণপোষণ না পেয়ে নিরুপায় হয়ে স্বামী সানির সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় সানি যৌতুকের ২০ লাখ টাকা দাবি করে নাসরিনকে বলেন, ‘যৌতুকের টাকা না দিলে আমার মা তোমার সঙ্গে সংসার করতে দেবেন না এবং এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোমার পরিণতি অনেক খারাপ হবে। কারণ তোমার কিছু অশ্লীল ছবি আমার মোবাইল ফোনে রয়েছে।’ এরপর বাদীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সানির মা তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোর সঙ্গে আমার ছেলে সংসার করবে না। তাই সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যবস্থা কর।’ এরপর বাদী তাঁর বাসায় চলে যান।
পরে নাসরিন ক্রিকেটার সানির বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন দমন আইনে আরো একটি মামলা করেন।