ক্রিকেটের সুপারম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স
ওয়ানডের ফিফটি সেটাও মাত্র ১৬ বলে! দ্রুততম শতরানটিও মাত্র ৩১ বলে! দ্রুততম ১৫০ এসেছিল মাত্র ৬৪ বলে। টেস্টে ৭৯তম ইনিংসে এসে শূন্য রানে আউটের স্বাদ অনুভব করেন ডি ভিলিয়ার্স। সুপারম্যান বলার জন্য আর কীই বা গুণ থাকা দরকার? নিশ্চিত হেরে যাওয়া ম্যাচ ভেবে টিভি সেটের সামনে থেকে উঠে দাঁড়ালেন, আর খানিকক্ষণ পর জানলেন দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে গেছে তাহলে ভেবে নেবেন উইকেটে ছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। কারণ ক্রিকেটের ২২ গজে সব অসম্ভবকে সম্ভব করে চলেছেন তিনি। আর অসম্ভবকে তিনি সম্ভব করতে পারেন তিনিই তো সুপারম্যান!
ক্রিকেট মাঠে বোলাররা যেন তাঁর খেলার পুতুল। তিনি যা চান তাই করেন নিত্যদিন। অবিশ্বাস্য ফর্ম, উদ্ভাবনী সব শটের কারণে বোলারদের চোখে খলনায়কে পরিণত হওয়া এই ব্যাটসম্যানের পুরো নাম আব্রাহাম বেঞ্জামিন ডি ভিলিয়ার্স। প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যানের আজ ৩৩তম জন্মদিন। ক্রিকেটের ব্যাকরণকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মাঠের সব দিকেই শট খেলতে সিদ্ধহস্ত এই ব্যাটসম্যান। আর এই কারণে তাঁকে ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যানও বলা হয়। বিশ্বসেরা বোলারটিকে পাড়ার বোলারে পরিণত করতে খুব একটা সময় নেন না এবি। ক্রিকেটের ২২ গজে তাঁর এমন তাণ্ডবলীলা দেখে এরই মধ্যে তাঁকে তুলনা করা হচ্ছে ‘ক্রিকেটের মেসি’ হিসেবে।
টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সব ফরম্যাটেই প্রতিপক্ষের আতঙ্কের নাম এবি ডি ভিলিয়ার্স। সময় হলেই ব্যাটটা যেন হয়ে উঠছে খাপখোলা তলোয়ার! ১৪০-৪৫ কিমি গতির বল অবলীলায় রিভার্স সুইপ করতে পারেন এই ব্যাটসম্যান। ১৯৮৪ সালের আজকের দিনেই প্রিটোরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
মাত্র ২০ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে করেন ২৮ রান। তবে অভিষেকের পর থেকেই প্রোটিয়া দলে অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হন এবি ডি ভিলিয়ার্স।
বোলারদের যমদূত-খ্যাত এই ব্যাটসম্যান অবশ্য বাস্তব জীবনে দারুণ লাজুক। নিজের সম্পর্কে সামান্যতম অহংকার নেই তাঁর। সবাই তাঁকে সুপারম্যান বলে ডাকলেও নিজেকে মাটির মানুষই ভাবতে ভালোবাসেন তিনি। টেস্টে ৮০৭৪, ওয়ানডেতে ৮৯১৩ এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৪৫৭ করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। শুভ জন্মদিন ডি ভিলিয়ার্স।