শাওনের অভিযোগে ফারুকীর ‘ডুব’ নিষিদ্ধ?
বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ডুব’ ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এমন খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক পত্রিকা ভ্যারাইটি। এ বিষয়ে ভ্যারাইটি বিএফডিসির মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষের সঙ্গে কথা বলেছে। তপন কুমার ভ্যারাইটিকে বলেন, ‘ছাড়পত্র বিএফডিসির কাজ নয়, ছাড়পত্র দেয় বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড।’ তবে বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ডের কারো সঙ্গে কথা বলেনি ভ্যারাইটি। ‘নিষিদ্ধ’ হওয়ার খবরটি তারা দিয়েছে নির্মাতা ফারুকীর বরাত দিয়েই।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ডের সদস্য নাসির উদ্দীন দিলুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এনটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘ডুব ছবি বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে আমি কিছুই জানি না। গতকাল ছিল শুক্রবার, সেন্সর বোর্ড বন্ধ ছিল, এটা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’
অন্যদিকে, ছবি নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “যৌথ প্রযোজনা ছবির জন্য গঠিত বিশেষ কমিটির কাছে ‘ডুব’ ছবি প্রিভিউয়ের জন্য জমা দেওয়া হয় ১২ ফ্রেব্রুয়ারি। প্রিভিউ কমিটি অনাপত্তি জানায় ১৫ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু এর একদিন পরই তথ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে ছবির অনাপত্তিপত্রটি স্থগিত করা হয়।’
ফারুকী আরো জানান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত ছবিটি এখন সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া যাবে না। তবে তিনি ছবিটি নিয়ে আশাবাদী।
এর আগে অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন ‘ডুব’ ছবি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সেন্সর বোর্ডে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি আশংকা করছি ছবিটি হুমায়ূন আহমেদের জীবনী থেকে নির্মিত হয়েছে। কারণ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় আসা ছবির শিল্পীদের সাক্ষাৎকারে আমি এমন আভাস পেয়েছি।’ তবে ফারুকী জানান তিনি মৌলিক চিত্রনাট্য থেকেই ছবিটি নির্মাণ করেছেন।
বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ প্রযোজনায় ‘ডুব’ চলচ্চিত্রে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, রোকেয়া প্রাচী, কলকাতার পার্নো মিত্র ও বলিউডের ইরফান খান। ছবিটি প্রযোজনা করেছে যৌথভাবে জাজ মাল্টিমিডিয়া ও কলকাতার এস কে মুভিজ। এ ছাড়া ছবির সহপ্রযোজক হিসেবে আছেন ইরফান খান।
এদিকে ‘ডুবে’র ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ভেরিফায়েড পেইজ থেকেও জানানো হয়েছে প্রতিক্রিয়া। সেখানে বলা হয়,
“বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমী ও জাজ ভক্তদের বলছি, আপনারা ভয় পাবেন না। এই সরকার আমাদেরই। এই সরকারের প্রতি আমাদের আস্থা আছে এবং আমরা কোনো বেআইনি কাজ করি নাই। বরং এই স্থগিতাদেশই বেআইনি হয়েছি।
আমরা বিশ্বাস করি, এই বেআইনি স্থগিতাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হবে এবং যে বা যারা সরকারকে এই বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে, তাদের প্রতি আমাদের নিন্দা।
ডুব আপনাদের ছবি। আপনাদের কাছেই আসবে।”