৫ রানের আক্ষেপ ডি ভিলিয়ার্সের
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও হারের মুখ দেখতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ৪৫ রানের ইনিংস খেলে অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স সাজঘরে না ফিরলে হয়তো শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে পৌঁছেও যেত প্রোটিয়ারা। ইনিংসটা আরেকটু বড় করতে না পারার জন্য আরেকটি কারণেও আক্ষেপ হতে পারে ডি ভিলিয়ার্সের।
আর মাত্র ৫টি রান করতে পারলেই ডি ভিলিয়ার্স পূর্ণ করতে পারতেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫১তম অর্ধশতক। এ সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের আক্ষেপ করার কারণটি অবশ্য সেটা নয়। পাঁচটি রানের জন্য ডি ভিলিয়ার্স ছুঁতে পারেননি ওয়ানডেতে নয় হাজার রানের মাইলফলক। সে জন্য আরো কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে ডানহাতি এই মারমুখী ব্যাটসম্যান।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে এই পাঁচটি রান করতে পারলে রেকর্ডবুকেও নাম উঠবে ডি ভিলিয়ার্সের। সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে নয় হাজার রান করার নতুন রেকর্ড গড়বেন তিনি। যে রেকর্ডটি এখন আছে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর দখলে।
১৯৯২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ২২৮টি ইনিংস খেলে গাঙ্গুলী পূর্ণ করেছিলেন নয় হাজার রান। তখন থেকে রেকর্ডটি আছে তাঁরই দখলে। আর ডি ভিলিয়ার্স এখন পর্যন্ত ৮,৯৯৫ রান করেছেন ২০৪টি ইনিংস খেলে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচেই হয়তো গাঙ্গুলীকে ছাড়িয়ে যেতে পারবেন ডি ভিলিয়ার্স।
এর আগে ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম ইনিংসে আট হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শের রেকর্ডেও ডি ভিলিয়ার্স ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন গাঙ্গুলীকে। তিনি এই উচ্চতায় গিয়েছিলেন নিজের ২০০তম ইনিংসে। আর ডি ভিলিয়ার্সের আট হাজার রান পূর্ণ করতে লেগেছিল ১৮২টি ইনিংস।
দ্রুততম সময়ে সাত হাজার রানের রেকর্ডও ডি ভিলিয়ার্স গড়েছিলেন নতুন করে। এখানেও পেছনে পড়েছিলেন গাঙ্গুলী। তবে এই রেকর্ডে ডি ভিলিয়ার্সকেও ছাড়িয়ে গেছেন বিরাট কোহলি। মাত্র ১৬১ ইনিংসে সাত হাজার রান করায় রেকর্ডটি এখনো আছে কোহলির দখলে। এই রেকর্ডও হয়তো টিকবে না খুব বেশি দিন। ভেঙে দেবেন হাশিম আমলা। ১৪৪টি ইনিংসে প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যান সংগ্রহ করেছেন ৬,৮২৫ রান। এখন ১৬টি ইনিংসে মাত্র ১৭৫ রান করলেই কোহলির দুর্গে হানা দিতে পারবেন আমলা।
সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে ২০০০, ৩০০০, ৪০০০, ৫০০০ ও ৬০০০ রানের রেকর্ডও আছে আমলার দখলে।