ঠেঙ্গারচরকে বাসযোগ্য করতে হবে
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, ‘রোহিঙ্গারা এখানে অনেক কষ্টের মধ্যে রয়েছে। সরকার যদি তাদের কোনো জায়গায় স্থানান্তর করতে চায়, তবে সেই জায়গাটি আগে মানুষের বসবাসের উপযোগী করতে হবে। সেখানে তাদের সাময়িক অবস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে সেখানে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয়।’
মিয়ানমার থেকে শরণার্থী হিসেবে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সমুদ্রগর্ভ থেকে জেগে ওঠা ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তরের কথা ভাবছে সরকার। যদিও চরটি এখনো বসবাসের উপযোগী নয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সরকার বলছে, রোহিঙ্গারা জীবন-যাপনের সব ব্যবস্থাই সেখানে পাবে।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই আজ শনিবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের কাছ থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের কথা শোনেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর একই ঘটনা ঘটিয়েছে উল্লেখ করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, মিয়ানমার সরকারের এ ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে রোহিঙ্গারা সেখানে ফিরে যেতে পারে সেই পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমার সরকার বাধ্য হয়।
সকাল ১০টায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। এরপর তিনি একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক পরিদর্শনে যান। এ ছাড়া তিনি উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইউএনডিপি, আইওএম, ইউএনসিআরসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।