মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে না পারায় এরশাদের দুঃখ প্রকাশ
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
গতকাল শনিবার সংসদে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা-সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এরশাদ এ কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। এটা আমার জীবনের বড় দুঃখ। ১৯৭০ সালের ২৯ ডিসেম্বর আমাকে পাকিস্তানের করাচিতে মালির ক্যান্টনমেন্টে বদলি করা হয়। পরে এক মাস ছুটি কাটিয়ে একাত্তর সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে পাকিস্তান যাই। মার্চে জেনারেল ওসমানীর কাছে আমার করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আমাকে সেখানে থাকার নির্দেশ দেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে না পারার দুঃখ থেকে যাবে। যুদ্ধে অংশ নিতে না পারলেও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। মতিঝিলে কল্যাণ ট্রাস্টের অফিস করেছি, ২২টি শিল্প প্রতিষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া হয়েছে।’
২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণার প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাঙালিদের নিশ্চিহ্ন করার জন্যই ২৫ মার্চ গণহত্যা চালানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সবাই মিলে এই দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অবশ্যই আমরা একদিন পাবই।’
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ‘একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা। তিনি জাতির পিতা, কারো একক সম্পদ নয়। তাঁর জন্ম না হলে আমি সেনাপ্রধান হতে পারতাম না, তাঁর জন্ম না হলে আমি রাষ্ট্রপতি হতে পারতাম না।’ তাঁকে জাতির পিতা হিসেবে ঘোষণা করতে না পারা জীবনের আরেকটি দুঃখ বলে তিনি উল্লেখ করেন।