বিএনপি স্টেটমেন্ট ও ফেসবুকনির্ভর দল : এরশাদ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, বিএনপি একটি স্টেটমেন্ট (বিবৃতি) ও ফেসবুকনির্ভর দল। আর জাতীয় পার্টি সারা দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে কাউন্সিল করছে, দলকে সংগঠিত করছে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে হেলিকপ্টারে করে এক ব্যক্তিগত সফরে খুলনা যান এরশাদ। সেখানে সার্কিট হাউসে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় পার্টি দেশের রাজনীতিতে একটা ফ্যাক্টর।’
এ সময় খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এস এস মুশফিকুর রহমানের সঙ্গে কেক কাটেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব আমরা। খুলনার সব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। বাছাই করার পর কোনো আসনে ভালো হবে তা বুঝে দিব।’
এরশাদ আরো বলেন, ‘রাজনীতির পথ খুব পিচ্ছিল পথ। আঁকাবাঁকা পথ। আমরা আঁকাবাঁকা পথ চলতে অভ্যস্ত নই। আমাদের পথ সোজা। কিন্তু এখন আঁকাবাঁকা পথ চলতে শিখেছি। আশা করি, আগামী নির্বাচনে ভালো করব আমরা। ২৬ বছর ক্ষমতার বাইরে আমরা। তা সত্ত্বেও অস্তিত্ব নিয়ে বেঁচে আছি আল্লাহর অশেষ রহমত। ছয় বছর জেলে ছিলাম আমি। একটা নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও জাতীয় পার্টি বেঁচে আছে। রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি একটা ফ্যাক্টর।’
এরশাদ বলেন, ‘বিএনপি যে অত্যাচার আমাদের ওপর করেছিল আমরা সবাই জ্ঞাত আছি। তার ফল তারা পাচ্ছে এখন। বিবৃতি দেওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো কর্মকাণ্ড নেই। অফিশিয়াল বিবৃতি দেন আর ফেসবুকে থাকেন আর কোনো কর্মকাণ্ড নেই। আমরা ঘুরে বেড়াচ্ছি সারা বাংলাদেশে।’
এ সময় দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেস সচিব সুনীল শুভ রায়, সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখতসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। একই সময় খুলনার কয়েকজন আইনজীবী এরশাদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন।
জাতীয় পার্টি ত্যাগ
এদিকে খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে এস এম মুশফিকুর রহমানের নাম ঘোষণায় জাতীয় পার্টির মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন। ওই দুই নেতা গতকাল সোমবার রাতে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
এস এম মুশফিকুর রহমান জাতীয় পার্টি নেতা আবুল কাশেম হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। ১৯৯৫ সালে আবুল কাশেমকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।