আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো শিক্ষা পেয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে যে আর অবহেলা করা যাবে না, সেই শিক্ষা পেয়েছে কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৭ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল অবদান আছে কিংবা আত্মত্যাগে স্মরণীয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় এবার ১৫ ব্যক্তি ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জন্য অবদান রাখায় এই স্বীকৃতি নতুন প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। এ সময় দেশের কল্যাণে বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে বিশ্বে অনেক উঁচুতে নিয়ে গেছে।
‘অন্তত এইটুকু বলতে পারি যে, এই সিদ্ধান্তের ফলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে এবং বাংলাদেশটাকে যে আর অবহেলা করা যায় না, তা এ সমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা, যারা কথায় কথায় মিথ্যা দোষারোপ দিয়ে তাদের কাছে মানে নতজানু করে রাখতে চায়, তারা সে শিক্ষাটা পেয়ে গেছে। আর বাঙালিকে কেউ এভাবে মাথা নিচু করে চলার ষড়যন্ত্র করতে পারবে না’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা আর ইতিহাস বিকৃতি করে দেশকে উল্টো পথে নেওয়া হয়েছিল। তাঁর সরকার ক্ষমতায় এসে আবারও দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ। এটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য অর্জনেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী দিনে যারা দায়িত্ব পাবে, এ দেশের কর্ণধার হবে, আমরা আশা করি, আমি আশা করি যে তারা এই কাজ অবশ্যই এগিয়ে নিয়ে যাবে’, বলেন শেখ হাসিনা।
এ পর্যন্ত ২৩২ জন ব্যক্তি ও ২৫টি প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে ৫০ গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, তিন লাখ টাকা ও একটি সম্মাননা দেওয়া হয়।