‘জঙ্গি আস্তানা’ ঘিরে সোয়াট
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পাঠানপাড়া শিববাড়ী এলাকায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ ‘আতিয়া মহলের’ আশপাশ পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াটের সদস্যরা।
এর আগে আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার কিছু পরে সোয়াট সদস্যরা সিলেটে পৌঁছান। সেখানে পৌঁছার পরই তারা ‘জঙ্গি আস্তানা’ ও আশপাশ পর্যবেক্ষণ করে।
পরে সোয়াট সদস্যরা সেখানে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন।
‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে আজ শুক্রবার ভোর থেকে ‘আতিয়া মহল’ ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে কাওসার আহমেদ এবং মর্জিনা বেগম নামে দুই ‘জঙ্গি’ অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। তাদেরকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায় পুলিশ। এ সময় বোমার বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়।
দুপুরে সিলেটের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতারুজ্জামান জানান, বাড়ির ভেতর থেকে কাওসার আহমেদ নামের একজন বলেন, তাঁরা আল্লাহর রাস্তায় আছেন। তাঁরা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না। সোয়াট বা অন্য কোনো বিশেষ টিম এলে তাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাঁরা আত্মসমর্পণ করতে পারেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোর থেকে বাড়িটি ঘেরাও করে চারপাশে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাড়িটিতে চারতলা ও পাঁচতলাবিশিষ্ট দুটি ভবন রয়েছে। ভোরে জঙ্গিরা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে সকাল ৯টা থেকে পুলিশ ভবন লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ছুড়ছে। সকাল থেকেই ওই ভবন থেকে কেউ বের হতে পারেননি। এ ছাড়া সকাল থেকে ওই ভবনের আশপাশের ভবনগুলোতে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
বাড়ির মালিক উস্তার আলী জানান, প্রায় তিন মাস আগে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে কাওসার ও মর্জিনা নামের দুজন বাড়িটির পাঁচতলা ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। সেই সময় তাঁরা নিজেদের প্রাণ কোম্পানির সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ বলে পরিচয় দেন। তবে তাঁদের আচরণ সন্দেহজনক বলে মনে হয়নি।