কেন্দ্রীয় নেতাদের কুমিল্লা ত্যাগ, দুই প্রার্থীই আশাবাদী
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল সোমবার রাত ১২টার আগেই বহিরাগতদের কুমিল্লা সিটি ছাড়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নেতাদের ছাড়াই গণসংযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ এ বিএনপির প্রার্থী।
এদিকে আজ মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী প্রচার।
নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার রাত ১২টার আগেই বহিরাগতদের কুমিল্লা সিটি এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে নির্বাচন কমিশন।
পরিপত্রের নির্দেশ অনুযায়ী গতকাল সোমবার রাতেই কুমিল্লা নগরী ছেড়ে গেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় কুমিল্লা ক্লাব থেকে বিদায় নেন কুসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমার প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক কাজী জাফর উল্লাহ। একই সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মুর্শেদ কামালসহ অন্য কেন্দ্রীয় নেতারাও কুমিল্লা ছেড়ে চলে যান।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নেতাদের ছাড়া গণসংযোগ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা। নগরীর বাখরাবাদ এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।
গণসংযোগের এক ফাঁকে আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন, ‘আমি আমার চেষ্টা করেছি। সবাই আমার পক্ষে সাড়া দিয়েছে। এখন ৩০ মার্চ বোঝা যাবে সবাই কতটুকু আমাকে গ্রহণ করেছে। নৌকা স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক। আমার বিশ্বাস ৩০ মার্চ কুমিল্লার উন্নয়নের জন্য নৌকাকেই বেছে নিবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কুমিল্লা এখন যে অবস্থায় আছে, কুমিল্লার মানুষ পরিবর্তন চায়।’
অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু মঙ্গলবার দুপুরে বজ্রপুর এলাকায় গনসংযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের কাজ করতে হয়। সামর্থ্যের বাইরে কেউ যেতে পারে না। আমি সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করতে পেরেছি কি না তারা তা বিবেচনা করুক। যদি নাও পারি, তারা আমাকে দেখেছে কি না রাস্তাঘাটে, জনগণ উপলব্ধি করুক। আমি বিগত দিনে তাদের সঙ্গে ছিলাম, সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করার চেষ্টা করেছি।’
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কুমিল্লা নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ২৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল জানান, আগামী ২৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত মোতায়েন থাকবেন ৩৩৮ জন র্যাব সদস্য। কুমিল্লা সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ মার্চ।
রকিব উদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ বলতে কিছু নেই। সব কেন্দ্র আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সবই সমান গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ছিল।’
রকিব উদ্দিন মণ্ডল আরো বলেন, ‘ভোটারদের ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ভোটাররা যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে সেজন্য চেষ্টা করছি।’