প্রথম হারলেন সীমা, অপরাজিত সাক্কু
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ হলো কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন।
আজ বৃহস্পতিবার দিনভর ভোট শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এতে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ১১ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন।
এই প্রথম নির্বাচনে পরাজিত হলেন কুমিল্লার প্রভাবশালী আফজল খান পরিবারের মেয়ে সীমা। এর আগে তিনবার নির্বাচন করেই তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন। প্রথমবার তিনি কুমিল্লা পৌরসভার কমিশনার, পরে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং সবশেষ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছিলেন।
অপরদিকে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু। ২০০৬ সালের প্রথম ভোটের মাঠে নামেন সাক্কু। প্রথম ভোটে জনগণের রায়ে তিনি কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে কুমিল্লা সিটির প্রথম মেয়র হনও তিনি। সেবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েন। তিনি হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আফজল খানকে।
এবার সাক্কু বিএনপি প্রার্থী হিসেবে আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে পরাজিত করলেন।
সাক্কু কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিরও সদস্য। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত সাক্কুর এক মেয়ে রয়েছে। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত তিনি।
আঞ্জুম সুলতানা সীমা আফজল খানের চার সন্তানের মধ্যে সবার বড়। বাবার হাত ধরেই তাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ। ২০০০ সালে কুমিল্লা পৌরসভার কমিশনার ও পরে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর তিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
সীমা ২০০৯ সালে আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন। ২০১২ সালে কুসিকের প্রথম নির্বাচনেও তিনি কাউন্সিলর পদে ও পরে প্যানেল মেয়র পদে নির্বাচিত হন।
২০০৫ সালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন সীমা। তাঁর স্বামী নেছার উদ্দিন আহমেদ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে।