আরিফুলের বরখাস্তের আদেশ স্থগিত, দায়িত্ব পালনে বাধা নেই
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এতে তাঁর দায়িত্ব পালনে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
এ আদেশটি দ্রুত বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে সরকার এবং সিটি কপোরেশন কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছাতে বলেছেন আদালত।
একইসঙ্গে মেয়র আরিফুল হককে বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মেয়র আরিফুল হকের আবেদনের শুনানি শেষে আজ সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
মেয়র আরিফুল হকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ও ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ১৫ বছর আগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ওপর হামলার ঘটনায় নতুন করে অভিযোগপত্রে মেয়র আরিফুল হকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দেশে এসব কী হচ্ছে! মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এ অভিযোগপত্রে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়টি আদালতে উপস্থাপনের পর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গতকাল রোববার বরখাস্তের পর পুনরায় দায়িত্বে ফিরতে আজ দুপুরে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র। এ দুই মেয়র উচ্চ আদালতের রায় নিয়েই গতকাল রোববারই দায়িত্বে ফিরেছিলেন। কিন্তু চেয়ারে বসার কিছু সময়ই পরই ফের তাঁদের বরখাস্ত করা হয়।
এই বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আজ হাইকোর্টে করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এর মধ্যে আরিফুলের বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে করা রিটের শুনানি হয়েছে। বুলবুলের রিটের শুনানি যেকোনো সময় হতে পারে।
আগামীকাল মঙ্গলবার হবিগঞ্জের বরখাস্তকৃত মেয়র জি কে গউছও দায়িত্বে ফিরতে রিট করতে পারেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা।
গতকাল রোববার দুই ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের তিন মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ দেয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। মামলায় অভিযোগপত্রে তিনজনের নাম থাকায় আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। দুপুর ২টা ৫ মিনিট থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে এসব আদেশ তাঁদের কর্মস্থলে পৌঁছায়।
বরখাস্তের আদেশের পর বিএনপি নেতা তিন মেয়রই দাবি করেছেন, রাজনৈতিক কারণেই তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ।