শেষটাও কি শুরুর মতো হবে মাশরাফির?
ইনজুরির সঙ্গে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাওয়া মাশরাফিকে যে ক্রিকেট মাঠে আর বেশি দিন দেখা যাবে না, সেটা জানাই ছিল। তারপরও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শুরুর ঠিক আগ দিয়ে টি-টোয়েন্টি থেকে মাশরাফির অবসরের ঘোষণা আবেগতাড়িত করে তুলেছে অনেককে। অনিবার্য ঘটনা হলেও যেন ঠিক মেনে নেওয়া যাচ্ছে না বাংলাদেশের সফলতম এই অধিনায়কের বিদায়। এখন শুরুর মতো টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষটাও যেন মাশরাফি জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে পারেন, এমনটাই কামনা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের।
২০০৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের অন্যতম সদস্য ছিলেন মাশরাফি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচে বাংলাদেশ পেয়েছিল ৪৩ রানের দাপুটে জয়। মাশরাফিই ছিলেন বাংলাদেশের জয়ের নায়ক। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে খেলেছিলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস। পরে বল হাতেও নিয়েছিলেন একটি উইকেট। চার ওভার বল করে দিয়েছিলেন ২৯ রান। বলা বাহুল্য, ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছিল মাশরাফির হাতে।
প্রায় এক যুগ পর সেই মাশরাফি খেলতে নামছেন নিজের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। শুরুর মতো ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টিও তিনি যেন জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে পারেন, সেই প্রার্থনাই করছেন মাশরাফিভক্তরা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ হেরে গেছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে মুখ্য হয়ে উঠেছিল ম্যাচ শুরুর আগে মাশরাফির অবসরের ঘোষণা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচেরও কেন্দ্রে থাকবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বদলে দেওয়ার এই নায়ক। জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলে বিদায়বেলাটাও রাঙিয়ে নিতে পারবেন ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। সতীর্থরাও নিশ্চিতভাবেই নিজেদের সেরাটা ঢেলে দেবেন মাশরাফির সম্মানে।