শেষ ম্যাচটা সারা জীবন মনে রাখবেন মাশরাফি
ব্যাট হাতে গোল্ডেন ডাক। মালিঙ্গার স্লোয়ার বোঝার আগেই উড়ে যায় তাঁর স্টাম্প। বল হাতে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে পেয়েছেন একটি মাত্র উইকেট। ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মনে রাখার মতো কিছুই করেননি মাশরাফি। তারপরও এটি মাশরাফির ম্যাচ। এই ম্যাচটাকে সারা জীবন মনে রাখবেন বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক। কারণ, ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাঁর নেতৃত্বে জিতেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি জানালেন, জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত তিনি।
মাশরাফি বলেন, ‘জয় দিয়ে শেষ করতে পারাটা অসাধারণ ব্যাপার। এটা অবশ্যই আমার জন্য গর্ব করার মতো একটি বিষয়। এই শেষ ম্যাচটা সারা জীবন মনে থাকবে আমার। গর্ব করে বলতে পারব, শেষ ম্যাচটা আমরা জিতেছিলাম আর সেই ম্যাচে আমি অধিনায়ক ছিলাম।’
টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও ওয়ানডেতে এখনো জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি। সংবাদ সম্মেলনে এটাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি। তারপরও টি-টোয়েন্টির আবেগ ছুঁয়ে যাচ্ছিল তাঁকে। তিনি বলেন, ‘কেবল টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছি, ওয়ানডেতে খেলব। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইমোশন তো থাকবেই। বাংলাদেশের হয়ে এই ফরম্যাটে ১০ বছর খেলেছি। অনেকের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তবে শেষটা ভালো হওয়ায় খুব ভালো লাগছে আমার।’
টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এবারই প্রথম শ্রীলঙ্কায় গিয়ে স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রণ করেছে বাংলাদেশ। গলে সিরিজের প্রথম টেস্ট হারের পর কলম্বোতে দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে জয় দিয়ে নিজেদের শততম টেস্ট ম্যাচটা রাঙিয়ে তোলে মুশফিকুর রহিমের দল। এরপর ওয়ানডে সিরিজেও আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ৯০ রানে হারায় মাশরাফিরা। দ্বিতীয় ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। আর শেষ ম্যাচে জয় দিয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটা জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ জয় দিয়ে লঙ্কা সফরটা শেষ করল বাংলাদেশ।