মেয়র নাছির অবৈধ ব্যবসায় জড়িত : মহিউদ্দিন চৌধুরী
চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ তিন সংসদ সদস্য (এমপি) চট্টগ্রাম বন্দরকে নিয়ে ব্যবসার পাশাপাশি অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। মেয়রের অযোগ্যতার কারণেই তিনি প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা হারিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে এক জনসভায় এ অভিযোগ আনেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। সোনালী মৎস্যশিল্প সমবায় সমিতি এ জনসভার আয়োজন করে।
জনসভায় সিটি করপোরেশনের আগের নির্ধারিত হোল্ডিং ট্যাক্স বহাল, ফিশারি ঘাটে পাইকারি মাছ বাজার বহাল রাখার দাবি জানান মহিউদ্দিন চৌধুরী।
এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ১৭ বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান থেকে শুরু করে সব কিছু মানুষের আয়ত্তের মধ্যে ছিল। ট্যাক্স না বাড়িয়ে তিনি নগরীর উন্নয়ন করেছেন। আর বর্তমান মেয়র নাছির উন্নয়ন না করে ট্যাক্স বাড়িয়ে আদি মানুষকে শহর থেকে বিতাড়িত করার অপচেষ্টা করছেন। পাশাপাশি খুন ও জমি দখলসহ নানা অনিয়মের সঙ্গে মেয়র জড়িয়ে পড়ছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম গিয়ে মেয়র নাছিরকে সাবধান করার পরও তাঁর কোনো পরিবর্তন হয়নি উল্লেখ করে মহানগর আওয়ামী লীগের এই সভাপতি বলেন, এ জনসভার পর মেয়র নাছির অসৎ ইচ্ছা ও চক্রান্ত বন্ধ না করলে কী করতে হবে তা তাঁর জানা আছে। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে পটিয়ার এমপি বিচ্ছু, লতিফ ও দিদারের বন্দরে নানা অবৈধ ব্যবসার চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জঙ্গিবিরোধী সমাবেশ
একই সময়ে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে জঙ্গিবিরোধী সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন সিটি মেয়র নাছিরের সমর্থিত নেতাকর্মীরা। তবে এসব কর্মসূচি চলাকালে নগর ভবনে অফিস করেন নাছির।
এদিকে সিটি করপোরেশনে কোনো ধরনের গৃহকর বাড়ানো হয়নি বলে উল্লেখ করেছেন মেয়র নাছির। আওয়ামী লীগের নগর সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী জনসভার মাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।