ভাস্কর্য থাকা না থাকার সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য সরানো কিংবা না সরানোর সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটিই নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
আজ শনিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বাধীন একদল ওলামার সঙ্গে বৈঠকে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাস্কর্য অপসারণের সম্মতি দেন। সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সুস্পষ্ট অবস্থান জানতে চাইলে সাংবাদিকদের জবাব দেন হাছান মাহমুদ।
‘সুপ্রিম কোর্ট একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সুপ্রিম কোর্ট সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। এখানে এই ভাস্কর্য থাকবে কি থাকবে না, এটা একান্তই সুপ্রিম কোর্টের এখতিয়ার’, বলেন হাছান মাহমুদ।
‘সুপ্রিম কোর্টের সামনের গ্রিক ভাস্কর্যটি যেখানে স্থাপন করা হয়েছে, তা জাতীয় ইদগাহ মাঠের পাশে। এখানে স্বকীয়তা অনুসরণ করা হয়নি। এই কারণে প্রধানমন্ত্রী ওনার মতামত প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী প্রধান বিচারপ্রতির সঙ্গে মতামত ব্যক্ত করেছেন’, যোগ করেন হাছান মাহমুদ।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রিজভী বলেছেন, ভারত- পাকিস্তানকে দুর্বল করার জন্য পাকিস্তান ভেঙে দিয়েছিলেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় তারা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।