জাপা নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে
রাডার ক্রয়সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদসহ চারজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আজ বিকেলে। এ রায়কে কেন্দ্র দুপুরের পর থেকেই জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে জড়ো হতে শুরু করেছেন।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে এরই মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন জাপার ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, নুরুল ইসলাম নুরু, যুগ্ম মহাসচিব জহিরুল আলম রুবেল, সংসদ সদস্য আমিন হোসেন ভুঁইয়া, সালাউদ্দিন মুক্তি, জাপা নেতা মো. সোলায়মান সামি, জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি ফখরুল আহসান শাহজাদা, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ইফতেখার হাসান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু প্রমুখ।
জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এটি মিথ্য মামলা। আমাদের স্যার খালাস পাবেন।’
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, এরশাদ আদালতের পাশে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান করছেন। রায়ের সময় তিনি হাজির হবেন।
গত ১২ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই দিন ধার্য করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।
আদালতে সরকারপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল জানান, আজ বেলা ৩টার দিকে এ রায় ঘোষণা করা হবে। রায় ঘোষণার সময় এরশাদকে আদালতে হাজিরের কথা বলা হয়েছে।
এরশাদের মামলাটি আগে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন ছিল। ২০১৩ সালের ১১ জুন মামলাটিতে যুক্তিতর্কের শুনানি পর্যায়ে ওই আদালতের বিচারক বিব্রত বোধ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠিয়ে দেন। এর পর এ আদালতে মামলাটির বিচার শুরু হয়। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত হয়।
মামলার অপর তিন আসামি হলেন সুলতান মাহমুদ, মমতাজ উদ্দিন আহমদ ও এ কে এম মুসা। মামলার শুরু থেকেই মুসা পলাতক।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর এরশাদসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এরশাদসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর পর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি চার লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা ক্ষতি করেন।