নব্য জেএমবির ‘আইটি বিশেষজ্ঞ’ জেনী রিমান্ডে
রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সারোয়ার-তামিম গ্রুপের ‘তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) বিশেষজ্ঞ’ মুশফিকুর রহমান ওরফে জেনীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোহা এই আদেশ দেন।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে আজ বিকেলে জেনীকে হাজির করে বাড্ডা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন র্যাবের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর বলেন, র্যাব ১০ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আওতাধীন বাড্ডা থানার একটি মামলা তদন্ত শুরু করে। সেই মামলায় ঢাকার যেকোনো সরকারি স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনার জন্য সংগ্রহ ও মজুদ করা গান পাউডার এবং নিজেদের তৈরি দেশীয় অস্ত্রসহ এ পর্যন্ত ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আসামিরা আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার মাধ্যমে ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস(আইডি) ব্যবহার করে বড় ধরনের হামলা ও নাশকতার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে।
তারা ক্যান্টনমেন্টসংলগ্ন বড় কোনো সরকারি স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলেও জানায়।
জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান, আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তাদের আইটি বিশেষজ্ঞ মুশফিকুর রহমান ওরফে জেনী নামের একজন। তিনি নব্য জেএমবির সদস্যদের আইডি সরবরাহ করে বড় ধরনের নাশকতার জন্য জঙ্গিদের উদ্বুদ্ধ করে আসছিলেন। এর পর মুশফিকুর রহমান ওরফে জেনী সম্পর্কে অনুসন্ধান চালানো হয়। অনুসন্ধানে তাঁর বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার প্রত্যক্ষ অভিযোগ পাওয়া যায়। এর পর থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তারে র্যাব-১০ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, মুশফিকুর রহমান ওরফে জেনী উত্তরায় তাঁর নিজের বাসায় অবস্থান করছে। এর পর দ্রুত র্যাবের একটি দল সেখানে গিয়ে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় বিপুল রিমোট কন্ট্রোল আইডি ও অন্য ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।