রামপালে বায়ুদূষণে মারা যাবে ৬ হাজার মানুষ : গ্রিনপিস
নির্মাণাধীন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বায়ুদূষণের কারণে ছয় হাজার মানুষের অকালমৃত্যু হবে। এ ছাড়া ২৪ হাজার শিশুর কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করবে।
আজ শুক্রবার আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিস প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট।
মিয়ানমার থেকে স্কাইপের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন গ্রিনপিসের কয়লা ও বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ লরা মালিভির্টা। তিনি বলেন, আগামী ৪০ বছরে এসব প্রাণহানি ও কম ওজন শিশুদের জন্ম হবে।
লরি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে বায়ুদূষণ যদি নাও থাকে, তবু এসব ঘটনা ঘটবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সরকার এ প্রকল্প সম্পর্কে জাতিকে অসত্য তথ্য দিচ্ছে।
পরিবেশবাদীরা রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করে আসছে শুরু থেকেই। আর এসব বিরোধিতা আমলে না নিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পক্ষে নানা যুক্তিও তুলে ধরছে সরকার।
গ্রিনপিসের গবেষণায় বলা হয়, রামপালের বায়ুদূষণের কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক), ফুসফুসের ক্যানসার এবং বয়স্কদের হৃদযন্ত্রসহ শিশুদের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়াবে।
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির অভিযোগ, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবন ধ্বংসের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলবে। অথচ এ বিষয়ে সরকার অস্পষ্ট তথ্য দিচ্ছে।
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমাদের বলা হচ্ছে, তোমার শরীরে আমরা বিষ ঢোকাব। কিন্তু বিষের যাতে কোনো বিষক্রিয়া না হয়, সেটার জন্য আমরা সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কিন্তু সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার কোনো নমুনা কোথাও আমরা পাচ্ছি না।’
ক্ষমতা প্রদর্শন না করে, ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রকল্পটি বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।