বিনা বিচারে বন্দির সংখ্যা বাড়ছে : রিয়াজুল হক
অনিষ্পত্তি মামলার সংখ্যা বাড়ার কারণে দিন দিন বিনা বিচারের বন্দির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। এসব কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি সরকারের আর্থিক গচ্ছা যাচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।
আজ বুধবার সকালে খুলনা জেলা কারাগার পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের এসব কথা বলেন রিয়াজুল হক। এ সময় জেল সুপার কামরুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের দেশে দীর্ঘদিন থেকে মামলা অনিষ্পত্তি রয়ে যাচ্ছে। ওই অপরাধের জন্য তাঁকে জেলখানায় রাখা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি সময় ধরে মানুষ জেলখানায় বসে আছে। যেমন ঢাকাতে বাবুলের একটা কেস আপনারা দেখেছেন। ওর সর্বোচ্চ সাজা ছিল ১৪ বছর, কিন্তু সে ২৫ বছর ধরে জেলখানায় বিনা বিচারে ছিল। পরে কোর্ট থেকে যখন মামলাটি ডিস্পোজাল হলো, সে নিরপরাধ হিসেবে খালাস পেয়ে গেল। বিনা বিচারে একটা মানুষ, সে তো দোষী হলো না কিন্তু তাকে এতদিন জেল খাটতে হলো।’
কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘এই বিচারটা বিবেচনা করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা একটা উদ্যোগ নিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে যারা জেলখানায় পড়ে আছে, বিচারের মুখোমুখি, তাদের হাজির করা হচ্ছে না বা বিচারে হাজির করা হলেও বারবার তারিখ পড়ে মামলাটিকে বিলম্বিত করা হচ্ছে। এতে তার মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।’
রিয়াজুল হক বলেন, খুলনা জেলে ধারণক্ষমতা ৬০৮ জনের, আর সেখানে বন্দি রয়েছে এক হাজার ৩৪৫ জন। এর মধ্যে মাত্র ৩০০ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি। খুলনা জেলে দুজন ভারতীয় আটক রয়েছে। পাসপোর্ট আইনে একজন ভারতীয় ১১ মাস ধরে জেলে রয়েছে, বিচারে তাঁর সাজা হলে সর্বোচ্চ এক বছরের জেল বিধান রয়েছে।