খালেদা জিয়া একবারও কি হাওরে গিয়েছেন, প্রশ্ন কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন করেছেন, ‘যাঁরা ঢাকায় বসে এই যে ত্রাণ নিয়ে কথা বলছেন, তাঁদের নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া একবারও কি হাওর এলাকায় গিয়েছেন?’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রমনা রেস্তোরাঁয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পাঁচ হলের নবগঠিত কমিটির সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের এ প্রশ্ন করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘অনেকে ঢাকায় বসে বড় বড় কথা বলে, সুনামগঞ্জের দুর্গম হাওর এলাকায় প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি ও নেতারা টোকেন হিসেবে দুই-তিনটি ত্রাণ দিয়ে চলে যান। বাকিগুলো অন্যরা বিতরণ করেন। আজকে ২২৮ জন তালিকায় ছিল, কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী ১০ জনকে ত্রাণ দেবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ২২৮ জনকে দিয়েছেন। এটা শুধু আজকের জন্য নয়। ৩০ কেজি করে চাল ও এক হাজার টাকা করে ত্রাণ বিতরণ নতুন ফসল ওঠা পর্যন্ত চলবে। যাদের ঘর নেই, তাদের ঘর করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতায় আসতে চায় নিজেদের জন্য, লুটপাটের জন্য, পকেটের উন্নয়নের জন্য। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকে মানুষের জন্য একটা মমতা নিয়ে কাজ করেন। ফখরুল সাহেব (বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) একটা এলাকায় গিয়েছেন, ত্রাণ দেননি। যাঁরা ত্রাণ নিতে এসেছিলেন, তাঁরা খালি হাতে ফিরে গেছেন। উনি (ফখরুল) ফটোসেশন করে ওনাদের এক কারাবন্দি নেতার জন্য দোয়া চেয়ে ফিরে এসেছেন। মদন এলাকায় উনি কেন গিয়েছিলেন?’
সেতুমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, একটি বাড়ি একটি খামার, গৃহহীনদের আশ্রয়ণ ও ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য শেখ হাসিনা কিংবদন্তি হয়ে থাকবেন। নেতারা পুরুষশাসিত আওয়ামী লীগ বানাতে চায়। স্থানীয় সরকারের নারী প্রার্থী থাকলে নেতারা ঢাকায় তাঁদের নাম পাঠান না। তবুও নেত্রী (শেখ হাসিনা) কোথাও নারী প্রার্থী থাকলে মনোনয়ন দিয়ে দেন।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, একটা মৃত্যুর প্রতিবাদ করতে গিয়ে যদি রাস্তা অবরোধ করা হয় তাহলে জরুরি মুমূর্ষু রোগীর কী হবে? প্রতিবাদের নামে হাজার হাজার মানুষকে রাস্তায় কষ্ট দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এটা কোনো প্রতিবাদের ভাষা নয়। এই ভাষা গ্রহণযোগ্য নয়।’
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতিকে আকর্ষণীয় করতে হবে। তোমরা যারা লিডার আছো, তাদের আকর্ষণীয় হতে হবে। ছাত্রনেতাদের নৈতিকতার ভিত্তি শক্তিশালী না হলে ছাত্ররাজনীতি আকর্ষণীয় হবে না। আওয়ামী লীগের যে যেখানে কাজ করে তাদের আচরণ শেখ হাসিনাকে প্রতিনিধিত্ব করে। তাই এটা খেয়াল রাখতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল, রোকেয়া হল, কবি সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, কুয়েত মৈত্রী হল—এই পাঁচ হল শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স।