সেন্ট্রাল হাসপাতালের পরিচালক গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সেন্ট্রাল হাসপাতালের পরিচালক এম এ কাশেম। আজ শুক্রবার এম এ কাশেমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আফিয়া জাহান চৈতি মারা যাওয়ার পর অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার অভিযোগে গতকাল বুধবার মামলা দায়ের করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। ওই মামলায় আসামি করা হয় হাসপাতালের পরিচালক এম এ কাশেমসহ নয়জনকে।
ধানমণ্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে জানান, মামলার একজন আসামি ওই হাসপাতালের পরিচালক এম এ কাশেম। তাঁকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, কাশেম ইউসুফ, ডা. মর্তুজা, ডা. লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম মাতলুবুর রহমান, ডা. মাসুমা পারভীন, ডা. জাহানারা বেগম মোনা, ডা. মাকসুদ পারভীন ও ডা. তপন কুমার বৈরাগী।
গতকাল বুধবার রাতেই পরিচালক এম এ কাশেমকে ধানমণ্ডি থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ব্যাপারে ধানমণ্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউল আলম জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনার পর গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গিয়ে হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুর চালান। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সেন্ট্রাল হাসপাতালের পরিচালক এম এ কাশেমকে নিরাপত্তার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়।
পরে সন্ধ্যায় মামলা দায়ের হলে এম এ কাশেমের নাম থাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জানা যায়, গত বুধবার জ্বর নিয়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফিয়া। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান আফিয়া। তাঁর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। ঢাবির অভিযোগ, ওই হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে চৈতির মৃত্যু হয়েছে।