মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না : কাদের
হেফাজতে ইসলামের দাবি মেনে সুপ্রিম কোর্টের সামনের ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত ভাস্কর্য সরানোর পর সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেশের সব ভাস্কর্য সরানোর আওয়াজ উঠলেও সেরকম কিছু হবে না বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
বরং ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যেসব ভাস্কর্য আছে এবং ভবিষ্যতে নির্মিত হবে সেগুলোর ব্যাপারে সরকার অনড়, অটল অবস্থানে আছে’ বলে মনে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
অনেক আলোচনা-সমালোচনার পর গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে শুকরিয়া মিছিল করে হেফাজতের নেতারা। সেখান থেকে তাঁরা এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান।
হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “আমরা দেশের সব ‘মূর্তি’ অপসারণের দাবি জানিয়েছি। সেই সঙ্গে আর কোথাও যেন এভাবে ‘মূর্তি’ স্থাপন করা না হয়, সে দাবিও জানিয়েছি।”
এর একদিন পর আজ শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে ভাস্কর্যগুলো বাংলাদেশে আছে, তার সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্যের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই অন্যান্য ভাস্কর্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না।’
দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে মহাসড়কে যানজটের অবস্থা দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতু বিষয়টা কোর্টের। সেহেতু ভাস্কর্যটা সেখানে ইনস্টল (স্থাপন) করাও তাদের বিষয়। ওই ভাস্কর্য সরাবে কি সরাবে না এটাও কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তের ব্যাপার। সরানোর বিষয়ে আমরা কোনো কথা বলিনি।’
সেতুমন্ত্রী জানান, রমজান মাসে সব মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখার লক্ষ্যে এখন থেকেই কাজ শুরু করা হয়েছে। মহাসড়কের পাশ থেকে ভাসমান দোকানগুলো সরিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। রমজানে মহাসড়কে যাতায়াতকারীরা যানজটের বিড়ম্বনায় পড়বেন না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।