চোখের মণিতে খুলবে দেশের বিমানবন্দরের ফটক
আপনি পাসপোর্ট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বিমানবন্দরে। ইমিগ্রেশনের সামনে লাগানো ‘ই-গেট।’ ওই ‘ই-গেটের’ মনিটরে আপনার পাসপোর্টটি রাখবেন। আপনার চোখের মণি ‘রিড’ করা হবে। পাসপোর্টে দেওয়া চোখের মণির সঙ্গে যদি তা মিলে যায়, তবেই খুলে যাবে দরজা! আর নয়তো খুলবে না!
বাংলাদেশেই হবে ওই ব্যবস্থা। এরইমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিমানবন্দরে এ ধরনের ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে বহিরাগমণ ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান এনটিভি অনলাইনকে এ কথা জানান। তিনি আশা করছেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে একটি সাড়া পাবেন তিনি।
মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান বলেন, ‘আমরা এ প্রস্তাবনা দিয়েছি। আশা করি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রস্তাবটির একটা ফয়সালা হবে।’
মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের (এমআরপি) পরিবর্তে ‘ই-পাসপোর্ট’ দিতে চাচ্ছি। আর ‘ই-পাসপোর্ট’ করার প্রস্তাবও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে।’
মাসুদ রেজওয়ান বলেন, ‘ই-পাসপোর্টে মানুষের ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের মণির ছবি নেওয়া হবে। আর বিমানবন্দরে থাকবে ‘ই-গেট।’ মানুষ ওই ‘ই-পাসপোর্ট’ স্থাপন করা ‘ই-গেটে’র সামনে রাখবে। তখন গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটির ‘চোখের মণি’ পাঠ করে নিবে যন্ত্র। আর পাসপোর্টের সঙ্গে ওই ‘চোখের মণি’ মিলে গেলেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে খুলে যাবে ই-গেট। এর মানে ইমিগ্রেশন পারও হয়ে গেছেন ওই ব্যক্তি। যদি ই পাসপোর্ট আর ই-গেটের মনিটরে দেওয়া চোখের মণি না মিলে তবে ওই দরজা খুলবে না। তখনই বুঝতে হবে সমস্যা আছে ওই পাসপোর্টে।
মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান জানিয়েছেন, চোখে যদি কোনো সমস্যা হয় তবে কোনো সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, ‘চোখের কর্ণিয়ার কোনো পরিবর্তন হয় না। আর পাসপোর্ট করার সময় চোখের কর্ণিয়া থেকেই তো আমরা প্রথম ইমপ্রেশন নেব। মানুষের চোখের কর্ণিয়া সব সময় স্থির থাকে।’