ফিঞ্চ কি আউট ছিলেন?
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেই সেমিফাইনালের টিকেট পেয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে হারলে খুলে যাবে বাংলাদেশের কপাল। প্রথমবারের মতো খেলতে পারবে আইসিসির বড় কোনো প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে। বাংলাদেশের জন্য এমন গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচে উঠেছে আম্পায়ারিং বিতর্ক।
অর্ধশতক পূর্ণ করা অ্যারন ফিঞ্চ নিশ্চিত এলবিডব্লিউর হাত থেকে বেঁচে গেলেন কি না, তেমন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।
অষ্টম ওভারে ৪০ রানের মাথায় অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট। কিন্তু এরপর আর কোনো সাফল্য পায়নি ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৬ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে গেছেন আরেক ওপেনার ফিঞ্চ ও অসি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ২০তম ওভারে ফিঞ্চকে সাজঘরে ফেরানোর ভালো সুযোগ এসেছিল ইংল্যান্ডের সামনে।
আদিল রশিদের বল লেগেছিল ফিঞ্চের প্যাডে। জোরালো আবেদন করেছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। কিন্তু আম্পায়ার সেই আবেদনে সাড়া দেননি। ইনিংসের প্রথম ভাগেই একটি মাত্র রিভিউ নেওয়ারও সাহস দেখায়নি ইংল্যান্ড। তবে টেলিভিশন রিপ্লে থেকে দেখা গেছে বল ঠিকই আঘাত হানত উইকেটে। প্যাডে লাগার আগে বলটা ফিঞ্চের ব্যাটে লেগেছিল কিনা, সে ব্যাপারে অবশ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ রিভিউ নেওয়ার আগপর্যন্ত স্নিকোমিটার ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।
এলবিডব্লিউর এই আবেদনের সময় ফিঞ্চ ব্যাটিং করছিলেন ৫৬ রান নিয়ে। পরে অবশ্য ইনিংসটা এমনিতেই খুব বেশি লম্বা করতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। কয়েক ওভার পরেই সাজঘরে ফিরেছেন ৬৮ রান করে।