সেমিতে কে হচ্ছে টাইগারদের প্রতিপক্ষ?
আইসিসির ইভেন্টগুলোতে বরাবরের মতোই দুর্দান্ত খেলে থাকে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপেই পাকিস্তানকে হারিয়ে চমক লাগিয়ে দেয় লাল-সবুজের দল। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলেও ২০০৭ সালে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায় হাবিবুল বাশারের দল। সে বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় টাইগাররা। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে খুব ভালো না করলেও সেখানে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডকে হারায় সাকিবের দল। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে তো কোয়ার্টার ফাইনালেই ওঠেন মাশরাফিরা। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বলার মতো কোনো পারফরম্যান্স ছিল না বাংলাদেশের। এবার সেই আক্ষেপও মেটাল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে গেল তামিম-সাকিবরা। আগামী বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নামবে মাশরাফির দল।
সেমিফাইনালে কে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ? ‘এ’ গ্রুপের খেলা শেষ হলেও ‘বি’ গ্রুপের এখনো দুটি ম্যাচ বাকি আছে। বাংলাদেশ দল যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ হয়েছে, তাই ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এই গ্রুপের সমীকরণটা বেশ জটিল। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের যে কেউই হতে পারে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ।
বিষয়টি বুঝিয়ে বলা যাক, ‘বি’ গ্রুপে খেলা চার দলেরই সংগ্রহ ২ পয়েন্ট করে। দুই ম্যাচ শেষে প্রত্যেকেই একটি করে জয় পেয়েছে। ভারত পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেও হেরেছে শ্রীলঙ্কার কাছে। দক্ষিণ আফ্রিকা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতলেও হেরেছে পাকিস্তানের কাছে। রানরেটে এগিয়ে থেকে গ্রুপের শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত। কোহলিদের রানরেট +১.২৭২। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের রানরেট +১। আজ এ দুটি দল পরস্পরের বিপক্ষে মাঠে নামবে। যে দল জিতবে, সেই দল পৌঁছে যাবে সেমিফাইনালে।
তবে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হবে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচে। এই ম্যাচের জয়ী দল যাবে সেমিতে। শেষ পর্যন্ত রানরেটে এগিয়ে থেকে যে দল গ্রুপের শীর্ষস্থানে থাকবে, তাদেরই বিপক্ষেই খেলবে বাংলাদেশ। তবে রানরেটে এগিয়ে থাকায় ভারত বা দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো একটি দলকেই সেমিফাইনালে পেতে পারে বাংলাদেশ।