ভারি বর্ষণের সতর্কবাণী, আছে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার বিকেল থেকে আজ বুধবার সারা দিন চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়।
এ ছাড়া ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলেও ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, টানা বর্ষণে পাহাড়ে মৃত্যুর মিছিল চলছে। ক্রমান্বয়ে বাড়ছে লাশের সংখ্যা। তিন জেলায় এখন পর্যন্ত ১৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পাহাড় ধসে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত ১২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে রাঙামাটিতে চার সেনাসদস্যসহ ৯৬ জন, চট্টগ্রামে ২১ জন ও বান্দরবানে ছয়জন রয়েছেন।
এ ছাড়া পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় পাঁচজন ও রাউজান উপজেলায় একজন এবং রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় একজন মারা গেছেন। এদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরের হালিশহর এলাকায় ঝড়ের সময় দেয়ালচাপা পড়ে একজন ও রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় গাছচাপা পড়ে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার ভোররাত থেকে অভিযান চালিয়ে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিযান এখনো চলছে। এসব ঘটনায় আহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক।
বঙ্গোপসাগরে থাকা নিম্নচাপের প্রভাবে গত রোববার রাত থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে সারা দেশে। সোমবার এটি বাংলাদেশের উপকূল ও স্থলভাগ অতিক্রম করে। এর প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ আরো বাড়ে। টানা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে গ্রাম-শহরে দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। এ কারণে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়। অনেক স্থানে বন্ধ করে দেওয়া হয় নৌযান চলাচল।