ফখর জামানের ক্রিকেটে আসার গল্প
ওয়ানডে ক্রিকেট তাঁর অভিষেক হয়েছে চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডেতে সুযোগটা খুব ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেননি পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামান। ৩০ বলে ৩১ রানের একটি ইনিংস খেলে নিজের জাতটা মোটামুটি চিনিয়েছেন। অবশ্য শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের দুই ম্যাচে দারুণ দুটি হাফসেঞ্চুরি করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন ভালো কিছু করার ক্ষমতা রাখেন তিনিও। আর ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে দারুণ একটি সেঞ্চুরি করে নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদানটা ভালোভাবেই দিয়েছেন।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক ফখরের ক্রিকেটে আসার গল্পটা আর-দশজনের মতো নয়। পাকিস্তানের পিছিয়ে থাকা একটি শহর খাইবার পাখতুনখাওয়ার একটি দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেন তিনি। পড়ালেখায়ও খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি। জীবনের তাগিদে যোগদেন দেশটির নৌবাহিনীতে। কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি ছিল তাঁর দারুণ ভালোবাসা, যেখানেই গেছেন ক্রিকেট খেলাটা চালিয়ে গেছেন।
ক্রিকেটের প্রতি দারুণ ভালোবাসার কারণে ২০১৩ সালে নৌবাহিনী ছেড়ে পাকাপাকিভাবে ক্রিকেটে মনোযোগী হন ফখর। সে বছরই পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয় করাচি বুলসের হয়ে। পাকিস্তানের অন্যতম মার্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট কায়েদ-এ আজম ট্রফিতে অভিষেকে দারুণ একটি সেঞ্চুরি করে নিজেকে ভালোভাবে জানিয়েছেন।
২৭ বছর বয়সে পাকিস্তান জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন এই পর্যায়ের ক্রিকেটে খেলার জন্য ফখর যথেষ্টই যোগ্য। চার ইনিংসে ৬৩ গড়ে মোট ২৫২ রান করে ফখর শুধু নিজের দলের সাফল্যে অবদান রাখেননি, নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়। তাঁর অন্যতম সাফল্যে পাকিস্তানের ক্রিকেট যেন নতুন করে আলোর মুখ দেখেছে।
প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে উঠে, ফেভারিট ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। আসরে পাকিস্তানের করা ৩৩৮ রানের বিশাল ইনিংসের জবাবে ভারত থেমে যায় মাত্র ১৫৮ রানে। জিতেছেও তারা ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে।