আগে পদ্মা সেতু হবে, তার পর নির্বাচন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে তৎপরতা আছে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন জেলা সফরে গিয়ে দলীয় প্রতীক নৌকায় ভোট চাচ্ছেন। এটা আগাম নির্বাচনের বার্তা কি না সেই আলোচনাও আছে দেশের রাজনৈতিক মহলে। তবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন মনে করেন, আগাম নির্বাচনের কোনো পথ নেই। আগে পদ্মা সেতু হবে, তার পরই নির্বাচনের কথা ভাববে তাঁর দল।
এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক। পাশাপাশি দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, উন্নয়ন, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ নানা বিষয় উঠে আসে এই আলাপচারিতায়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এনটিভি অনলাইনের নিজস্ব প্রতিবেদক মুহম্মদ আকবর।
এনটিভি অনলাইন : ২০তম সম্মেলনের পর থেকেই তৃণমূলের দ্বন্দ্ব নিরসনে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। রমজানেও সে কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। পরিস্থিতির কতটুকু উন্নতি হয়েছে?
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন : আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। অসংখ্য নেতাকর্মী থাকায় এখানে অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকবেই। নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে, মনোনয়নের প্রতিযোগিতা আছে। এ প্রতিযোগিতাই অনেক সময় কোন্দলে রূপ নেয়। এটা থাকবেই। কোন্দলহীন আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করা এক ধরনের অলীক চিন্তা-ভাবনা। পৃথিবীতে যেখানে তিনজন বাঙালির আছে সেখানে কোন্দল আছে। পরিবারেও কিন্তু এই অবস্থা লক্ষ্য করা যায়। সুতরাং কোন্দল থাকবে- এটা মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে। আমাদের কাজ হচ্ছে, কোন্দল কমিয়ে ‘টিম-ওয়ার্ক রিলেশন’টা বজায় রাখা। সেটাই আমরা করছি।
এনটিভি অনলাইন : সম্প্রতি ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের অধর্শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। এটা বিরল বলা যায়। এর কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন?
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন : এখানে আসলে যোগদান হয়েছে কী হয়নি বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। তবে একটি সংসদীয় আসনে আভ্যন্তরীণ সমস্যায় দুই-চার-পাঁচজন কর্মী ছুটে গেলে বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়বে এটি মনে করছি না। যেখান থেকে নেতাকর্মীদের যোগদানের কথা গণমাধ্যমে এসেছে সেখানে আমাদের কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলো সমাধান করতে পারলে কোনো সমস্যা হবে না। এ ছাড়া সারা দেশে অন্য কোনো জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী অন্যকোনো দলে যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। কোথাও কোথাও কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মী আছেন, যারা রাজনীতির মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। হয়তো সমর্থন করেন অথবা উচ্চাভিলাষী। এ ধরনের মানুষ অনেক সময় স্থির থাকতে পারেন না, তারা হয়তো এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের যে বিশাল কর্মী বহর আছে এবং আওয়ামী লীগ সভাপতির প্রতি মানুষের যে আস্থা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আগামী নির্বাচনে জনপ্রিয় ভোটেই আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে।
এনটিভি অনলাইন : বিএনপি বলেছে, সহায়ক সরকার ছাড়া তাঁরা নির্বাচনে আসবে না। বিএনপির মতো একটি বড় দলকে বাইরে রেখে আওয়ামী লীগ কি আবার নির্বাচনে যাবে বা বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য আওয়ামী লীগ কোনো চেষ্টা কি করবে?
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন : বিএনপিকে নির্বাচনে আসার জন্য বরাবরই আমরা আমন্ত্রণ জানিয়ে আসছি। একটি অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর। এ জন্য ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসনকে ফোন করে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দীর্ঘ সেই সংলাপটি সুখকর হয়নি, সম্মানজনক হয়নি। একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়া যেসব শব্দ চয়ন করেছেন এটি শিষ্টাচার বহির্ভূত। এটিকে শিষ্টাচারের কোনো সংজ্ঞায় ফেলা যাবে না।
তারপরও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী একজন সন্তানহারা মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য ছুটে গিয়েছিলেন। সেখানে কি ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে এটিও আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসী জেনেছে। এই অবস্থায় আগ বাড়িয়ে বিএনপিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানোর মানসিক অবস্থা আমাদের নেই।
তবে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আমাদের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা সবসময় হয়। তাদের সঙ্গে যথেষ্ট সখ্যতা রয়েছে, উঠাবসা হচ্ছে। সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে দেখা হচ্ছে। সেখানে নতুন করে সংলাপের আয়োজন আছে বলেও আমরা মনে করি না।
এনটিভি অনলাইন : একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। পাকিস্তান আমলে নানা সময়ে বাঙালি সহজাত সংস্কৃতির ওপর সাম্প্রদায়িক আঘাত এসেছে। রবীন্দ্র-নজরুল নিষিদ্ধের চেষ্টা হয়েছে। সেই চেষ্টার সঙ্গে দেশের অনেক বুদ্ধিজীবীও তখন একাত্ম হয়েছিল। আবার এর বিপক্ষেও ছিলেন অনেকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্র-নজরুলের চেতনাকে অনিবার্য মনে করেই অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছেছেন। সেই চেতনার বাংলাদেশ গড়ার অভিপ্রায়ে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে। স্বাধীনতার পরও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সে ধারা অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করেছে। অনেকে মনে করেন, আওয়ামী লীগের সেই ধারা থেকে কিছুটা বিচ্যুত হয়েছে?
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন : এটা কেন মনে হলে আপনার?
এনটিভি অনলাইন : দেশের ভাস্কর্যকে যারা মানতে চায় না, পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে মানতে চায় না, ৫ মে আওয়ামী লীগ সরকারকে প্রতিহত করতে যারা ঢাকায় নেমেছিল সেই তাদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু দাবি মেনে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, আওয়ামী লীগ তার আগের ধারা থেকে কিছু পিছু হটেছে এবং প্রতিক্রিয়াশীল দলের প্রতি আওয়ামী লীগের নীরব সমর্থন রয়েছে।
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন : প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর সঙ্গে না, তবে দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে কিছু ইসলামিক দল ও সংগঠনের প্রতি আওয়ামী লীগের নীরব না সরব সমর্থন রয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণের দল, আওয়ামী লীগ যা করে প্রকাশ্যে করে। আমি খুব স্পষ্ট করে একটি কথা বলতে চাই, একটি স্থান থেকে একটি মূর্তি বা ভাস্কর্য সরিয়ে নেওয়া মানেই বাঙালি সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানা নয়। এ দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, যারা যে ধর্মেই বিশ্বাস করুক না কেন প্রত্যেকেই নিজ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই মানুষগুলোর ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত হানা সংস্কৃতি নয়। একটি বিশেষ ধর্মের চিন্তা-চেতনা, বিশ্বাস, মননের ওপর কুঠারাঘাত কিংবা বিদ্রুপ এটা বাঙালি সংস্কৃতিতে নেই।
আর বাঙালি সংস্কৃতির স্বরূপ যদি আমাদের আন্তর্জাতিকতাবাদী অতি বামদের কাছে শিখতে হয় তাহলে এর থেকে দুঃখ আর নেই। যারা বাঙালি সংস্কৃতির ধারক তাদের অতিবামের কাছে পাঠগ্রহণ করতে হয় এটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। সমাজবাস্তবতাকে আপনাকে ধারণ করতে হবে। সমাজটা কী ধরনের, তার মনোভাব কী এটা বোঝতে হবে। কীভাবে সমাজের সব ধর্মাবলম্বী, মতাবলম্বী মানুষকে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় আরো সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করাতে পারি এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এখানে কোনো মানুষের বিশ্বাসে আঘাত হানবার অভিপ্রায় অন্তত বঙ্গবন্ধুকন্যা বা তাঁর সরকারের নেই।
এনটিভি অনলাইন : আপনাদের জোটে অর্থাৎ ১৪ দলে ইসলামিক দল আছে। দীর্ঘদিন ধরে আপনাদের সঙ্গে কাজ করছে আওয়ামী ওলামা লীগ নামের একটি সংগঠন। এরপরও আওয়ামী লীগ কেন মনে করছে যে, ইসলামিক চিন্তাবিদদের নিয়ে ‘ইসলামিক ফোরাম’ গঠন করতে হবে?
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন : বঙ্গবন্ধু অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। সেটি করা হয়েছিল ইসলাম ধর্মের মতো চিরন্তন ধর্ম, শান্তির ধর্মকে নিয়ে কাজ করার জন্য। আমাদের সাধারণ সম্পাদক একটি ফোরাম গঠনের কথা বলেছেন। এর কারণ, প্রতিপক্ষ পথভ্রষ্ট আলেমদের নিয়ে ইসলামের নামে ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে। তাদের আওয়ামীবিরোধী অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছে। কখনো কখনো আওয়ামীবিরোধিতা রাষ্ট্রবিরোধিতার শামিল হচ্ছে। কারণ, যে চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সে চেতনাকে আওয়ামী লীগ ধারণ করে। কিছু কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে আওয়ামী বিরোধিতার নামে বাংলাদেশ বিরোধিতা করছে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কাজকর্ম করছে। যাতে এই মানুষগুলো বাংলাদেশমুখী হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনামুখী হয়। দেশের অগ্রযাত্রায় অংশগ্রহণ করে এমন একটি ফোরাম হচ্ছে, যেখানে আমাদের দেশের আলেমরা ইসলামের বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করতে পারেন এবং সেই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে গবেষণা করতে পারবেন, কাজ করতে পারবেন। ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থানে নেই। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যে ইসলামের বিরুদ্ধে নয়, কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নয় বরং প্রত্যেকটি ধর্মকে সমপরিমাণ সম্মান প্রদর্শন করা আওয়ামী লীগের মূল উদ্দেশ্য এটাই। এটা বাংলাদেশেরও মূল উদ্দেশ্য। সে জায়গা থেকেই একটি ফোরাম করবার অভিপ্রায় আছে আমাদের।
এনটিভি অনলাইন : ১৪ দলে বামপন্থীরা আছে আবার ইসলামিক দলও আছে। প্রত্যেকের ভাবনা ও গন্তব্যে পৌঁছার লক্ষ্য ভিন্ন। এতে আওয়ামী লীগ কি কোনো চাপের সম্মুখীন হয়?
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন : আওয়ামী লীগ কোথাও কোনো চাপে নেই। আওয়ামী লীগের চাওয়া একটাই- কত বেশি জনকল্যাণ করা যায়, কত বেশি উন্নয়ন করা যায়। এই একটা চাপই আছে। আমরা কীভাবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংরা গঠন করতে পারি- সে চাপটাই অনুভব করি। সেখানে কোনে বাম-ডান, উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিমের চাপ আওয়ামী লীগের নেই। আমাদের বক্তব্য খুবই স্পষ্ট, দেশের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে চাই। এর সঙ্গে যারা একমত পোষণ করবে তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে। যারা আমাদের নীতির সঙ্গে একমত পোষণ করে না, তাহলে তাদের থাকবার প্রয়োজন নেই।
এনটিভি অনলাইন : আপনারা দৃঢ়ভাবেই বলছেন যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় আসবে। সেই বিশ্বাসটা কেন, কীসের ওপর ভিত্তি করে?
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন : মূলত উন্নয়ন এবং জনকল্যাণ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন এবং জনকল্যাণ হচ্ছে এটিকে জাতি ধারণ করে। মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ এবং এগিয়ে যাবে। উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করে অসংখ্য মানুষের জীবনযাপনের ব্যবস্থা করছেন, মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন করেছেন এবং ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই মহাকর্মযজ্ঞ সুচারুভাবে বাস্তবায়ন করাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের মূলশক্তি। জনগণই আওয়ামী লীগের মূলশক্তি। সেই শক্তি নিয়ে আওয়ামী লীগ বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আগামীতে ক্ষমতায় আসবে।
এনটিভি অনলাইন : অনেকে ধারণা করেন, দেশে আগাম নির্বাচন হবে। আপনি কী মনে করেন?
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন : এটা গণমাধ্যমের দাবি, আওয়ামী লীগের দাবি না। তবে আগাম নির্বাচনের কোনো ইঙ্গিত আমি দেখছি না। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। এ নিয়ে অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে অনেক কিছু হয়েছে। সেটা বাংলাদেশের মানুষ জানে। তারপরও পদ্মা সেতুর কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। আমরা আশা করছি, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে পদ্মা সেতৃর উদ্বোধন হবে। এই মহাকর্মযজ্ঞের মহানায়ক শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন। তারপর তিনি নির্বাচনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বেন। সুতরাং আগাম নির্বাচনের কোনো পথ আমি দেখি না।