পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত, এর মাঝেই ‘অপহৃতের’ ফোন
আক্ষরিক অর্থেই তখন ঘরভর্তি পুলিশ। বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ফরহাদ মজহারের ‘অপহরণের’ বিষয়ে কথা বলছিলেন। এমন সময়ই অজ্ঞাত স্থান থেকে ফোন আসে তাঁর স্ত্রী ফরিদা আখতারের কাছে। মোবাইল ফোনটি নিয়ে তিনি দৌড়ে চলে যান পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনে। ফোনে ‘অপহরকারীদের’ দাবির বিষয়ে কথা বলেন ফরহাদ মজহার।
আজ সোমবার বিকেলে শ্যামলীর রিং রোডের এক নম্বর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
বিশিষ্ট এই ব্যক্তি অপহৃত হয়েছেন খবর পেয়ে তাঁর বাসায় যান পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বিকেলে যখন ফরহাদ মজহার টেলিফোন করেন, তখন সেখানে পুলিশের একজন অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক, আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পর্যায়ের তিনজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে প্রথম দফায় ‘অপহরণকারীরা’ ৩৫ লাখ টাকা চায় বলে নিজের বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিলেন ফরহাদ মজহার। দুপুরের পর স্ত্রী ফরিদা আখতারের কাছে আবার ফোন আসে।
ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার বলেন, তিনি টেলিফোনে ফরহাদ মজহারকে জানিয়েছেন যে সবাইকে টাকার কথা বলা হয়েছে। সবাই জোগাড়ের চেষ্টা করছে। কিন্তু এখনো জোগাড় হয়নি। পরে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘টাকা না হলে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’
টেলিফোন আলাপ সম্পর্কে উপস্থিত ব্যক্তিদের ফরিদা আখতার আরো বলেন, ‘(ফরহাদ মজহার) বলছে, টাকার ব্যবস্থাটা হইছে? এটা জানা দরকার ছিল। জানা দরকার বলে আমি একটু পরে ফোন করতেছি, কোথায় দিতে হবে।’
ফরিদা আখতার বলেন, ‘আমার এক নম্বর কনসার্ন হলো তাঁর ফিজিক্যাল সেফটি (শারীরিক নিরাপত্তা)। এইটার উপরে আর কোনো কথা নাই।’