দুই ম্যাচ পরপরই আমার অবসরের কথা ওঠে : মাশরাফি
অবিসংবাদিতভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বোলার মাশরাফি বিন মুর্তজা। ইনজুরি নিয়েও এক যুগ ধরে খেলে চলেছেন দেশসেরা এই পেসার। তবে তাতেও সন্তুষ্ট নন সমালোচক ও ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কোনো ক্রিকেটার বাদ দেওয়ার কথা এলেই সবার আগে মাশরাফির নামই উচ্চারিত হয় তাঁদের মুখ থেকে। অথচ বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট তাঁর।
বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর চেয়ে সফল অধিনায়ক আর কেউ নেই। তবে সব সময় বাদ যাওয়ার ভয়ে থাকতে হয় তাঁকে। বিষয়টা বেশ পীড়া দেয় মাশরাফিকে। ক্রিকইনফোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন ম্যাশ, ‘প্রতিটি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই আমাকে বাদ দেওয়ার কথা আসে। এভাবে পারফর্ম করা কষ্টকর। আমি জানি, প্রতিটি সিরিজ শেষে আমার বিদায় নিয়ে কথা উঠবে।’ তবে ম্যাশ জানান, এটাকে চ্যালেঞ্জ ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নিন্দুকদের কথায় খুব একটা কান দেন না দেশসেরা এই ক্রিকেটার।
উদাহরণ হিসেবে গত আয়ারল্যান্ড সিরিজের কথা টেনে আনেন মাশরাফি। তিনি বলেন, গত মে মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমি সাড়ে ছয় ওভারে ৫৮ রান দিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম, বোলিংয়ে কোনো একটা সমস্যা হচ্ছিল। পরদিন প্রধান কোচ ও বোলিং কোচের সামনে নেটে বল করেছিলাম আমি। পরে কেবল উইকেটরক্ষকের সামনে বল করে নিজের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করি আমি। তবে সেখানকার কন্ডিশনে বল করা কঠিন ছিল।’
তবে সমালোচনাকারীদের খুব একটা পাত্তা দেন না মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘সমালোচনা হবেই। আমি যেহেতু একজন ক্রিকেটার, তাই ব্যক্তিগত বিষয় না দেখে পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা করা উচিত।’ তবে ভালো খেলার পরও নিজের সমালোচনা শুনলে বেশ খারাপ লাগে মাশরাফির। তিনি বলেন, ‘ভালো পারফর্ম করার পরও অনেক সময় সমালোচনা হয়। তখন খারাপ লাগে। তবে সেগুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। একজন ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে পারফর্ম করাটাই আমার প্রধান কাজ। আমি সেটাই করার চেষ্টা করি।’