ইমরান এইচ সরকারের ওপর ‘ডিম হামলা’
প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগে করা মামলায় জামিন পাওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
মশাল মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে করা মামলায় সকালে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন ইমরান এইচ সরকার ও সনাতন উল্লাস। পরে শুনানি শেষে আদালত তাঁদের দুজনকে জামিন দেন।
ইমরানের জামিনের প্রতিবাদে আদালত ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ইমরান এইচ সরকারের গাড়িতে পচা ডিম, জুতা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
ইমরানের আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ইমরান এইচ সরকার জামিন পাওয়ার পর আদালত থেকে নিচে নেমে গাড়িতে উঠছিলেন। এ সময় আদালতের ফটকে ছাত্রলীগের কর্মীরা স্লোগান দেয়। সেই সঙ্গে তারা ইমরানের গাড়িতে পচা ডিম, ইটপাটকেল ও জুতা নিক্ষেপ করে। এর পর ইমরান এইচ সরকার প্রাণভয়ে ঢাকার সিএমএম আদালত ভবনের এজলাসে গিয়ে আশ্রয় নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমরান এইচ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণেও আমরা নিরাপদ নই। আমার গাড়িতে ইট-পাথর-পচা ডিম ছোড়া হয়েছে। বোমা হামলার মাধ্যমে আমার প্রাণনাশেরও খবর ছিল।’
আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) জহুরুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, ইমরান এইচ সরকারসহ দুজন আদালত আত্মপক্ষ সমর্থন করে জামিনের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৩১ মে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে দণ্ডবিধি ৫০০ ধারায় এ মামলা করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। ওই দিন আদালত মামলা আমলে নিয়ে দুই আসামিকে ১৬ জুন হাজিরের নির্দেশ দেন।
গত ২৬ মে সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে শাহবাগ থেকে টিএসসি পর্যন্ত মশাল মিছিল করে গণজাগরণ মঞ্চ। ওই মিছিলে প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে বিভিন্ন ‘কটূক্তিমূলক’ স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ছাত্রলীগের।
ওই স্লোগানের প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিবাদ জানাচ্ছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এর পর গত ২৯ মে রাত ৯টার দিকে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় বিভিন্ন ধারায় একাধিক মামলার ঘোষণা দিয়েছিল।