একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইন সংস্কার, সীমানা পুনর্নির্ধারণসহ ঘোষিত রোডম্যাপ নিয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার বেলা ১১টার পর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদার সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা শুরু হয়। 

সংলাপে ইসির আমন্ত্রিত ৫৯ প্রতিনিধির মধ্যে অর্ধেকই উপস্থিত হননি। সভার শুরুতে ২৫ জন দিয়ে পরিচিতি পর্ব শুরু হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে আরো পাঁচজন যোগ দিয়েছেন।

এ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ছবি তোলার জন্য অনুমতি দেওয়া হলেও মতবিনিময় সভায় কাউকে থাকতে দেওয়া হয়নি।

আলোচনায় অংশ নিতে উপস্থিত রয়েছেন বিলুপ্ত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের  উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, এম হাফিজ উদ্দিন খান, সাবেক সচিব এ এইচ এম কাশেম, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান, ঢাবি অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বেসরকারি সংস্থার সাইফুল হক, সঞ্জীব দ্রং, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ এফ গোলাম হোসেন, সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন, ফিলিপ গায়েন, ব্রতীর নির্বাহী শারমিন মুর্শিদ, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সাবেক সচিব রকিব উদ্দিন মণ্ডল, কলাম লেখক মহিউদ্দিন আহমদ, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন, কবি লুবানা হাসান, খুশী কবির, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক অজয় রায় ও সিপিডির সম্মানিত ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। 
 
পরে যোগ দিয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান সা’দত হুসাইন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী, হোসেন জিল্লুর রহমান।

আলোচনার শুরুতে সিইসি কে. এম. নুরুল হুদা স্বাগত ভাষণ দেন। চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত রয়েছেন।

ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান গতকাল জানিয়েছিলেন, আমন্ত্রিত ৫৯ নাগরিকের মধ্যে ৪০ জন উপস্থিত থাকতে পারেন।