বাল্যবিবাহ ঠেকাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা বাবাদের
বাল্যবিবাহ ঠেকাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন বাবারা। কারণ প্রায় সব বাল্যবিবাহের পেছনেই থাকে বাবার ভূমিকা। তবে সাইবার ক্রাইমের কারণে ইদানীং অনেক বাবাই ভুগছেন টেকনো ফোবিয়ায়। এমনটা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় সরকারের তৎপরতা এবং মেয়েশিশুর বাবাদের সচেতন করা গেলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা অনেকটাই সহজ হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।
ঢাকার একটি কলোনিতে নিম্ন আয়ের পরিবারে বড় হওয়া এক কিশোরী নিজের পড়ার টাকা জোগাতে করত টিউশনি। সেখানেই প্রেমের ফাঁদে পা দেওয়া, পরিবারের অগোচরে বিয়ে, অতঃপর আবার পরিবারে ফিরে আসা। আর বয়স তখন মাত্র ১৫।
তবে এ ধরনের প্রেমঘটিত বাল্যবিবাহের হার মাত্র ৫ শতাংশ। আর এই বাবা তাঁর মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে এলেও উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান হচ্ছে, মেয়েশিশুকে সংসার নামক জটিল জায়গায় ঠেলে দিচ্ছেন ৭৬ শতাংশ বাবা। দারিদ্র, মেয়েশিশুর নিরাপত্তাহীনতা, পাত্র হাতছাড়া না করা, বয়স বাড়লে যৌতুক বাড়ার আশঙ্কার মতো বিষয়গুলো থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি বাবারা।
তবে দৃঢ়তা থাকলে যে সবকিছুকেই জয় করা যায় তার উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন রংপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চল গঙ্গাচড়ার হাবিবুর রহমান। আট মেয়েসন্তানের এই বাবা অভাবের সংসারেও চালিয়ে গেছেন সন্তানদের লেখাপড়া। মেয়েদের কারণেই টিনের ঘর থেকে দালান ঘরে উঠেছেন হাবিব। হয়েছেন অন্যদের অনুপ্রেরণা।
গবেষণা বলছে, এরকম বাবাদের দৃষ্টান্ত বদলে দিতে পারে সমাজকে। কারণ প্রচার-প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে মেয়েশিশুর প্রতি পরিবারে দৃষ্টিভঙ্গির।
আর তাতে বাল্যবিবাহের উদ্বেগজনক পরিসংখ্যানগুলো নিচের দিকে নেমে আসবে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাল্যবিবাহ নিয়ে মাকসুদুল হাসানের ধারাবাহিক ভিডিও প্রতিবেদনের তৃতীয় পর্বে জানা যাচ্ছে তারই বিস্তারিত।