জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ধারণা সেনাশাসকদের
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কনসেপ্টটা (ধারণা) হলো সেনাশাসকদের কনসেপ্ট, পাকিস্তানের কনসেপ্ট, জিয়াউর রহমানের কনসেপ্ট। কাজেই এটা পুনঃস্থাপনে অবশ্যই আমি ব্যথিত।’ আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় প্রকাশের পর নিজ কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। হাইকোর্ট শুনানি করে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। তার বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছিলাম। আপিলের শুনানি হয়েছে। পরে রায় ঘোষণা করা হয়েছিল। আজকে আমরা ওয়েবসাইটে পুরো রায়ের কপি পেয়েছি।’
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘এ রায়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সবাই একমত হয়েছেন। আলাদা কেউ রায় দেননি। রায়ের শেষ অংশে যেটা বলা হয়েছে, সেটা হলো সর্বসম্মতিক্রমে আপিলটাকে ডিসমিস করেছেন। সংবিধানের ৯৬-এর (২) থেকে (৭) অনুচ্ছেদ পর্যন্ত পুনঃস্থাপন করেছেন এবং রায়ে বিচারপতিদের কোড অব কন্ডাক্ট সম্পর্কে যে বিস্তারিত বর্ণনা আছে তার সঙ্গেও তাঁরা একমত করেছেন। অর্থাৎ যদিও প্রধান বিচারপতি রায়ের এক জায়গায় সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বলেছেন, এটা সংবিধান পরিপন্থী। কিন্তু রায়ের শেষাংশে যেখানে সবাই একমত হয়েছেন, সেখানে এটা পেলাম না।’
মাহবুবে আলম বলেন, সামগ্রিক বিষয়টি দাঁড়াল, মার্শাল ল’ আমলে সংবিধানের ৯৬ ধারা সংশোধন করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের যে বিধান অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধন করা হয়েছিল, সেটিকে আবার পুনঃস্থাপন করা হলো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রায়ের ভেতরে যাই বলা থাকুক না কেন রায়ের সমাপনীতে কী বলা আছে সেটি দেখতে হবে। অর্ডার অব দ্য কোর্ট কোনটা সেখানে কিন্তু ১১৬ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এটি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা অবসরের আগে নাকি পরে সই এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারব না। এটা প্রধান বিচারপতি বলতে পারবেন। অবসরের পর সইয়ের বিষয়টি আমাদের বহুদিনের ট্রাডিশন। অবসরের পর সই করতে পারবে না, এই মর্মে বর্তমান প্রধান বিচারপতি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।’