কোরবানির পশুর সংকট হবে না, মূল্যও স্বাভাবিক থাকবে
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সরকারের বিশেষ উদ্যোগের ফলে দেশে এখন পর্যাপ্ত পশু উৎপাদন হচ্ছে। আসন্ন কোরবানির ঈদে পশুর কোনো সংকট হবে না, মূল্যও স্বাভাবিক থাকবে।
আজ রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ, চামড়া সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি সংক্রান্ত সভায় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, গত বছর দেশে এক কোটি চার লাখ পশু কোরবানি হয়েছিল। এ বছর দেশে কোরবানিযোগ্য পশু উৎপাদন হয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ ৫৭ হাজার।
মন্ত্রী বলেন, দেশের চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিশ্ববাজারে চামড়ার মূল্য বিবেচনায় নিয়ে আসন্ন কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গরুর চামড়ার মূল্য ঢাকায় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, খাসির চামড়ার মূল্য সারা দেশে ২০ থেকে ২২ টাকা এবং বকরির চামড়ার মূল্য সারা দেশে ১৫ থেকে ১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মহিষের চামড়ার ন্যায়সঙ্গত বাজার দর নিশ্চিত করতে হবে। চামড়ার প্রকৃত মূল্য নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। চামড়া যাতে চোরাই পথে দেশের বাইরে না যায় সে জন্য বিজিবি এবং পুলিশ বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণ একটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য। দেশে খাবার ও চামড়ায় ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এনে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত লবণ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে মোতাবেক লবণ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে, আসন্ন কোরবানির ঈদের আগেই আমদানিকৃত লবণ দেশে আসবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চামড়া বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য। এ পণ্যকে যথাযথভাবে প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ করতে হবে। কোরবানির কাঁচা চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ করতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং প্রচার মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হবে। এক জেলার কাঁচা চামড়া অন্য জেলায় যেতে পারবে, তবে বিদেশে পাচার হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। পাচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিজিবি ও পুলিশ বাহিনিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য, বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের কো-অর্ডিনেটর মো. আলাউদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনতাকিম আশরাফ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিজিবি, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।