এভ্রিলের বিয়ের খবর নিয়ে মুখ খুললেন স্বপন
আগামী নভেম্বরে চীনে অনুষ্ঠিত হবে ৬৭তম ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতা। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকেও একজন প্রতিযোগী এতে অংশগ্রহণ করবেন। সেই লক্ষ্যেই ‘লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এর আয়োজক ছিলেন অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী। প্রায় দেড় মাস যাচাই-বাছাইয়ের পর একজন প্রতিযোগীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তিনি হলেন চট্টগ্রামের মেয়ে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। তবে প্রথমে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হিমি নন, বিজয়ী হয়েছেন এভ্রিল। আর হিমি হয়েছেন দ্বিতীয় রানারআপ। অনুষ্ঠানের পর এভ্রিল নিজের বিয়ের তথ্যটি গোপন করেছেন—এমন খবর প্রকাশের পর সুন্দরী প্রতিযোগিতাটি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে ওঠে। এসব বিষয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন অনুষ্ঠানটির আয়োজক স্বপন চৌধুরী।
এনটিভি অনলাইন : ‘লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করার প্রস্তাব কীভাবে পেলেন? আয়োজকদের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ কীভাবে হয়েছিল?
স্বপন চৌধুরী : প্রস্তাব আমরা পাইনি। নিজেদের আগ্রহে আমরা এটা করেছি। লন্ডনে আয়োজকদের কাছ থেকে এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য আমরা লাইসেন্স চেয়েছিলাম। গত বছরে আয়োজকরা যখন ড্রেস কোডের কিছু পরিবর্তন আনে, ঠিক তখনই আমরা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এ প্রতিযোগিতাটার আয়োজন করব। এরপর তো আমরা জমকালোভাবে এ আয়োজন করলাম।
এনটিভি অনলাইন : আয়োজন যখন শুরু করলেন, তখন আশানুরূপ প্রতিযোগী কি আপনারা পেয়েছিলেন?
স্বপন চৌধুরী : হ্যাঁ, অবশ্যই। প্রায় ২৫ হাজার প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য নাম আবেদন করেছিলেন।
এনটিভি অনলাইন : প্রতিযোগিতার বিজয়ী জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিচারকরা বলেছেন, তাঁরা তাঁকে জয়ী করেননি। আয়োজকরা তাঁকে জয়ী করেছেন। এ বিষয়ে কী বলবেন?
স্বপন চৌধুরী : এটা ঠিক নয়। বিজয়ী জান্নাতুল নাঈম ও প্রথম রানারআপ জান্নাতুল সুমাইয়া নাম দুটোর মিল থাকায় হয়তো একটু ভুল হয়ে গিয়েছিল। আমরা যদি আগে থেকে বিজয়ী ঠিক করতাম, তাহলে তো আমাকে সামনে এসে নাম ঘোষণা করতে হতো না! বিচারকদের দেওয়া সর্বশেষ নম্বর আমার কাছেই প্রথম এসেছিল। যা হোক, এ বিষয়ে আমরা আগামীকাল দুপুর ১টায় সংবাদ সম্মেলন করার কথা ভেবেছি। সেখানে আরো বিস্তারিত কথা বলব।
এনটিভি অনলাইন : জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে আপনি কি আগে থেকে চিনতেন? তাঁর আগের বিয়ের খবর কবে জেনেছেন?
স্বপন চৌধুরী : না, আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম না। বিয়ের খবরও জানতাম না। পত্রিকায় এ খবর প্রকাশের পর আমরা এর সত্যতা যাচাই করা শুরু করে দিয়েছি।
এনটিভি অনলাইন : তথ্য গোপন করার জন্য এভ্রিলের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে?
স্বপন চৌধুরী : যদি তাঁর বিয়ের খবর সত্য হয়, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী যা করতে হবে আমরা তা-ই করব। আমরা তাঁর ব্যাপারে আগামীকাল লন্ডনের আয়োজকের সঙ্গে আলাপ করব। তাঁরা যেটা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই চূড়ান্ত হবে।
এনটিভি অনলাইন : অনেকে এভ্রিলের থেকে জেসিয়া ও হিমিকে যোগ্য মনে করছেন। এ বিষয়ে আপনি কী ভাবছেন?
স্বপন চৌধুরী : আমি তো আয়োজক। আমি এ বিষয়ে কী ভাবতে পারি? বিচারকরা যাকে যোগ্য মনে করেছেন, সেই তো জয়ী হবে। তাই না!
এনটিভি অনলাইন : প্রতিযোগিতাটি যে এভাবে বিতর্কিত হলো, সেটা কি আপনাদের কোনো প্রচারের কৌশল ছিল? না সত্যি সত্যিই এমনটা হয়েছে?
স্বপন চৌধুরী : না, এটা একদমই প্রচারের কোনো কৌশল ছিল না। আমি ৩২ বছর ধরে মিডিয়ায় কাজ করছি। আমার চরিত্র সম্পর্কে সবাই জানেন।
এনটিভি অনলাইন : সুন্দরী বা নারীদের নিয়ে এ রকম প্রতিযোগিতা কি নারীর জন্য সম্মানজনক বলে মনে করেন?
স্বপন চৌধুরী : অবশ্যই। এতে নারীর ক্ষমতায়ন বাড়ে। এটা একজন নারীর জন্য বড় প্রাপ্তি বলে আমি মনে করি। কারণ, কাজের জন্য সে অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম পায়। তাকে কাজের পেছনে ছুটতে হয় না। সবাই তাকে একবারে চিনতে পায়। তার কাজ করতেও অনেক সুবিধা হয়। অনেক স্পন্সরও সে পায়।